ডা. আয়েশা আবদুল্লাহ। তিনি বেঙ্গালুরুর হিন্দু পরিবারের সন্তান। নাম ছিল চন্দ্রা লীলা। কিন্তু তাঁর পরিবার কখনোই ধর্মানুরাগী ছিলেন না।
বিজ্ঞাপন
সহপাঠী জিয়াউল হক চন্দ্রাকে প্রশ্ন করেন একজন মুসলিমকে বিয়ে করার পরও তিনি তাঁর নাম পরিবর্তন করছে না? তিনি বললেন, যতক্ষণ না তাঁর সব রকম সংশয় দূর হচ্ছে ততক্ষণ তিনি ইসলাম কবুল করবেন না। তিনি আরো বললেন, ‘আমি শুধু ইসলাম সম্পর্কেই সন্দিহান নই। যেকোনো ধর্ম গ্রহণ করতেই আমি সত্যিকার অর্থে ভীত। ’
পরবর্তী এক মাসে ডাক্তার জিয়াউল হক চন্দ্রা লীলাকে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা দেন এবং তার অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর দেন। এমনকি কোরআন পাঠের জন্য আরবিও শেখান। এর পরও চন্দ্রা সময় নিলেন এবং ১৯৭৩ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন। মুসলিম হওয়ার পর তিনি ইসলাম সম্পর্কে আরো জানার চেষ্টা করলেন এবং ধীরে ধীরে ইসলামের প্রতি আস্থা ও দৃঢ়তা বৃদ্ধি পেল।
চন্দ্রা লীলা বলেন, ‘আমার জ্ঞানের দ্বারা আমি সহজেই বুঝতে পারি কোরআন আল্লাহর বাণী। শত শত দেবতার অধীনে জীবনযাপন করা স্বাভাবিক নয়। আবার কোনো কিছুর অধীনে না থাকাও নৈতিকতার উন্নয়নের পথে অন্তরায়। ইসলাম আমাকে এক আল্লাহতে বিশ্বাসের অনুভূতি দান করেছে। আমি সরাসরি আল্লাহর কাছে চাইতে পারি। আমাকে মাধ্যম হিসেবে কারো সাহায্য নিতে হয় না। ইসলামে কুসংস্কারপূর্ণ বিশ্বাস বলতে কিছুই নেই। ’
ইসলাম গ্রহণের পর তিনি ‘আয়েশা আবদুল্লাহ’ নাম গ্রহণ করেন। তিনি আরো বলেন, ‘ইসলামে বিধবাদের একটি স্থান আছে। অথচ হিন্দু সমাজে বিধবাদের অবস্থানকে একটি অপরাধবোধে নামিয়ে আনা হয়েছে। হিন্দুদের মধ্যে একজন বিধবার দ্বিতীয়বার বিয়েও নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কারো স্বামী মারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীকে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মাহুতি দিতে হয়। যে এটা করে না তাকে অবিশ্বাসী বলে ধরে নেওয়া হয়। শুধু ব্রাহ্মণরাই বেদ পড়তে পারে এবং তারাই হয় পুরোহিত। এসব বিষয় আমার কাছে অমানবিক মনে হয়েছে। ’