<p>ইংল্যান্ডের মুসলিম জনসংখ্যা তিন মিলিয়ন ছাড়িয়েছে বলে ধারণা করছে দেশটির সরকারের কার্যালয় (সচিবালয়) হোয়াইট হল। ইংল্যান্ডের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (ওএনএস) এই তথ্য প্রকাশ করেছে। ইংল্যান্ডে বসবাসরত বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর পরিচালিত নিয়মিত গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।</p> <p>পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য মতে, মুসলিমরাই ইংল্যান্ডের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধমান ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং দেশটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ক্রমহ্রাসমান। তবে খ্রিস্ট ধর্মের প্রতি আনুগত্যও ধীরে ধীরে বাড়ছে। অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে এবং সমানুপাতে শিখদের সংখ্যা কমেছে। অন্যদিকে ইহুদি ও বৌদ্ধদের সংখ্যা স্থির রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, এখনো ইংল্যান্ডের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ধর্মে বিশ্বাস করে না বা ধর্ম ও ধর্মীয় পরিচয়ের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই। বিশ্লেষকদের ধারণা, খ্রিস্ট ধর্মের প্রতি অনাস্থার কারণেই ধর্মহীনতা ও অন্য ধর্মের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। তবে পরিসংখ্যান রিপোর্টে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও খ্রিস্টানদের সংখ্যা হ্রাসের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ দেখানো হয়নি।</p> <p>নতুন সমীক্ষা বলছে, ২০১১ সালের জাতীয় আদমশুমারির পর পাঁচ বছরে (২০১৬) ইংল্যান্ডে মুসলমানের সংখ্যা ২.৭ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ৩.১৩ মিলিয়নে উন্নীত হয় এবং যা ২০১৯ সালে এসে ৪.০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই হিসাবে গত ১০ বছরে ইংল্যান্ডে মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধির হার শতকরা ১৬ ভাগ। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মোট জনসংখ্যায় মুসলমানের হার ৪.৭ থেকে ৫.৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৬ সালে যা ছিল ৫.৬ শতাংশ। ২০০১ সালে যা ছিল মাত্র ৩.০ শতাংশ। সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ইংল্যান্ডের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে কেন্দ্রীভূত হওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। ফলে অঞ্চলভিত্তিক পরিসংখ্যানে তাদের সংখ্যা বাড়ছে। আবার কোথাও কোথাও কমছে। সূত্র : ডেইলি মেইল ও দ্য সান</p> <p> </p> <p> </p>