<p>সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) প্রেরিত হয়েছিলেন বিশ্বমানবের জন্য। সমগ্র মানবজাতির নবী ছিলেন তিনি। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনাকে গোটা মানবজাতির জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি।’ (সুরা : সাবা, আয়াত : ২৮)</p> <p>মহানবী (সা.)-এর সামগ্রিকতার প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁকে নিয়ে সামগ্রিক চর্চা থেকে। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বাধিক চর্চিত মানবের নাম মুহাম্মদ (সা.)। মহান আল্লাহর অঙ্গীকারও এটি। আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন, ‘আপনার আলোচনাকে আমি সমুন্নত করেছি।’ (সুরা : আশশারাহ, আয়াত : ৪)</p> <p>তাঁর ওপর বিশ্বাস স্থাপনকারী মুসলিমরাই যে শুধু তাঁর জীবন ও ইতিহাস নিয়ে চর্চা করেছে বা করছে তা নয়; বরং বহু অমুসলিমও তাঁর জীবনচরিতের ওপর মূল্যবান গবেষণা উপহার দিয়েছে। যদিও বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্দেশ্যের ভিন্নতার কারণে তাদের সব রচনা সমানভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। আবার এর বড় একটি অংশ ইতিবাচকভাবে মহানবী (সা.)-কে উপস্থাপন করলেও অনেকেই পূতপবিত্র জীবনরেখার ওপর ‘লাল’ দাগ বসানোর অপপ্রয়াস চালিয়েছে। তবে মহান আল্লাহ তাদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছেন এবং দুনিয়ার বুকেই বেশির ভাগ এই পাপের শাস্তি ভোগ করে গেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে নিয়ে অমুসলিমদের রচিত কয়েকটি বইয়ের পরিচয় তুলে ধরা হলো—</p> <p>১. হায়াতে মুহাম্মদ, লেখক : লালা রালয়া রাম কোলাতি, প্রকাশ : ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দ।</p> <p>২. হজরত মুহাম্মদ সাহেব, বানিয়ে ইসলাম (ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ), লেখক : শারদি বরকাশ, প্রকাশ : ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দ।</p> <p>৩. রাসুলে আরাবি (আরবের রাসুল), লেখক : জি এস দারা।</p> <p>৪. আরব কা চাঁদ (আরবের চাঁদ), লেখক : স্বামী লক্ষ্মী প্রসাদ, প্রকাশ : ১৯৩২।</p> <p>৫. হজরত মুহাম্মদ আওয়ার ইসলাম (মুহাম্মদ (সা.) ও ইসলাম), লেখক : বান্দাত চন্দ্র লাল।</p> <p>৬. হজরত মুহাম্মদ আওয়ার ইসলাম (মুহাম্মদ (সা.) ও ইসলাম), লেখক : বাবু কাঞ্জলাল এম।</p> <p>৭. পয়গম্বারে ইসলাম (ইসলামের নবী), লেখক : গৌরনাথ সাহায়ি।</p> <p>৮. চার মিনার, লেখক : গোবিন্দ রাম সিথি শাদ, প্রকাশ : ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দ।</p> <p>৯. হজরত মুহাম্মদ কি সাওয়ানেহে উমরি (মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনচরিত), সংকলন ও সম্পাদনা : প্রফেসর লাজবাদ রায় নায়ার।</p> <p>১০. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ, লেখক : মালিক রাম</p> <p>১১. মহাপুরুষ মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (সা.), লেখক : বান্দাত গোপাল কৃষ্ণ (সম্পাদক, ভারত সমাচার)</p> <p>১২. মুলকে আরব কা সবচে বড়া রিফর্মার (আরব ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় সংস্কারক), লেখক : শঙ্কর দাস কিয়ানি</p> <p>১৩. ওয়াহদানিয়্যাত কা মাতওয়ালা (একত্ববাদের প্রেমিক), লেখক : বুদ্ধ বীর সিং</p> <p>১৪. হজরত মুহাম্মদ কি আলমে ইনসানিয়্যাত পর আজিম ইহসানাত (মানবতার প্রতি মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুগ্রহ) লেখক : লালা রাম লাল ভর্মা</p> <p>১৫. বানিয়ে ইসলাম কি রহমদিলি (ইসলাম প্রতিষ্ঠাতার কোমলতা), লেখক : বি এস রান্ধাওয়া</p> <p>১৬. ইন সার্চ অব মুহাম্মদ (মুহাম্মদের খোঁজে), লেখক : ক্লিন্টন বেনেট</p> <p>১৭. দ্য ভয়েজ অব হিউম্যান জাস্টিস, লেখক : জর্জ জর্ডেক</p> <p>১৮. মুহাম্মদ : এ ভার্জ শর্ট ইন্ট্রোডাকশন, লেখক : জনাথন এ সি ব্র্যাউন</p> <p>১৯. মুহাম্মদ : এ বাইয়োগ্রাফি অব দ্য প্রফেট, লেখক : কারেন আর্মস্ট্রং</p> <p>২০. এ প্রফেট অব আওয়ার টাইম, লেখক : কারেন আর্মস্ট্রং</p> <p>২১. মুহাম্মদ : হিস লাইফ বেজ্ড অন আর্লিয়েস্ক সোর্সেস, লেখক : মার্টিন লিংগস, প্রকাশ : ১৯৮৩</p> <p>২২. মুহাম্মদ, লেখক : মিশেল এ কুক</p> <p>২৩. দ্য পিসিডো-হিস্টোরিক্যাল ইমেজ অব দ্য প্রফেট মুহাম্মদ ইন মেডিয়েভাল ল্যাটিন লিটেরাচা : এ রিপোর্টারি, লেখক : মিশেলিনা ডি সিজার, প্রকাশ : ২০১১</p> <p>২৪. দ্য ফাস্ট মুসলিম : দ্য স্টোরি অব মুহাম্মদ, লেখক : দ্য লেসলি হাজলেটন, প্রকাশ : ২০১৩</p> <p>২৫. হে নবী তোমায় ভালোবাসি, লেখক : গুরুদত্ত সিং, অনুবাদ : আবু তাহের মিসবাহ</p> <p>উল্লেখ্য, এই লেখার উদ্দেশ্য সিরাতচর্চার ব্যাপকতা বোঝানো। নতুবা সিরাতচর্চার প্রধান ও গ্রহণযোগ্য উৎস হিসেবে মুসলিম লেখকদের লেখাই শ্রেয়। কেননা সিরাত শুধু ইতিহাস নয়; বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে বিশ্বাস ও ভালোবাসার প্রশ্নটিও।</p>