<p>তাফসির : আগের আয়াতে বলা হয়েছিল, মহান আল্লাহ সব কিছু পরিবেষ্টন করে আছেন এবং তিনি অপরাধীদের বিশেষভাবে গুনে রাখেন। আলোচ্য আয়াতে এসব অপরাধীকে কিয়ামতের দিনের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, কিয়ামতে সবাইকে একাকী মহান আল্লাহর দরবারে হাজির হতে হবে। সেখানে আত্মীয়-স্বজন ও সহায়-সম্বল কোনো কাজে আসবে না।</p> <p>পৃথিবীতে মানুষ অন্য মানুষের মাধ্যমে আসে। একসময় মানুষ পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু তার এই আসা-যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ একাকী। মানুষ দুনিয়ায় আসে একা, দুনিয়া থেকে যায় একা, সঙ্গে কেউ যায় না। এটাই চিরন্তন সত্য। এটাই নির্মম সত্য। কিয়ামতের বিভীষিকাময় দিনে এই সত্য সর্বতোভাবে প্রমাণিত হবে। সেদিন কেউ কারো কোনো উপকার করতে পারবে না। সেদিন বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন একে অন্যকে ভুলে যাবে। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘বন্ধুরা সেদিন হয়ে পড়বে একে অন্যের শত্রু। তবে মুত্তাকিরা এর ব্যতিক্রম।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৬৭)</p> <p>সেদিন আত্মীয়-স্বজনও কোনো কাজে আসবে না। অন্য আয়াতে এসেছে, ‘ওই দিন (কিয়ামতের দিন) ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কোনো কাজে আসবে না। সেদিন উপকৃত হবে শুধু সে, যে আল্লাহর কাছে আসবে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে।’ (সুরা : শুআরা, আয়াত : ৮৮-৮৯)</p> <p>নিজের কামাইকৃত আমল ও ইবাদত ছাড়া সেদিন কোনো কিছুই কাজে আসবে না।</p> <p>ইরশাদ হয়েছে, ‘সেই দিন একে অন্যের জন্য কিছু করার সামর্থ্য থাকবে না। এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর।’ (সুরা : ইনফিতার, আয়াত : ১৯)</p>