<p><strong>সুরা কাউসার</strong></p> <p>মক্কায় অবতীর্ণ এই সুরায় তিনটি বিষয় রয়েছে—এক. আল্লাহর নিয়ামতের বর্ণনা এবং দুনিয়া ও আখিরাতে তাঁর রাসুলকে বিপুল অনুকম্পা দেওয়ার কথা এবং আখিরাতে হাউসে কাউসারের কথা বর্ণিত হয়েছে।</p> <p>দুই. নবী (সা.) ও তাঁর উম্মতকে ইখলাসের সঙ্গে নামাজ আদায় এবং আল্লাহর শুকরিয়াস্বরূপ কোরবানি করতে আদেশ দিয়েছেন।</p> <p>তিন. দুশমনের ওপর রাসুল (সা.)-কে সাহায্য করার সুসংবাদ এবং তাদের অপদস্থ ও লাঞ্ছিত করার খবর। কেননা তারা দুনিয়া ও আখিরাতে সব কল্যাণ থেকে দূরে রয়েছে।</p> <p> </p> <p><strong>সুরা কাফিরুন</strong></p> <p>এই সুরাটি মাক্কি। এ সুরায় মুশরিকদের কর্ম থেকে বেঁচে থাকতে এবং আল্লাহর জন্য কৃত আমলে ইখলাস-নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠা করতে বলা হয়েছে। ঈমান ও কুফরের মাঝে পার্থক্যরেখাও বর্ণনা করা হয়েছে।</p> <p> </p> <p><strong>সুরা নাসর</strong></p> <p>এই সুরাটি মদিনায় অবতীর্ণ  হয়েছে। এ সুরায় মক্কা বিজয়ের কথা বলা হয়েছে। রাসুল (সা.)-কে কাফির-মুশরিকদের ওপর বিজয় দান প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে। সারা আরব বদ্বীপে ইসলাম ছড়িয়ে যাওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। পৌত্তলিকতা ও শিরকের অন্ধকার দূর হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এবং রাসুল (সা.)-এর মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসার দিকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। পরিশেষে মহান আল্লাহর তাসবিহ, হামদ ও ইস্তিগফারের আদেশ দেওয়া হয়েছে।</p> <p> </p> <p><strong>সুরা লাহাব</strong></p> <p>এ সুরায় আবু লাহাব ও তার স্ত্রীর পরিণতি বর্ণিত হয়েছে। দুনিয়ায় তাদের কিভাবে ধ্বংস করা হবে এবং আখিরাতে জাহান্নামে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে, মহানবী (সা.)-এর প্রতি তার বিদ্বেষ ও মানুষকে ঈমানের পথ থেকে দূরে রাখার কথাও উল্লেখ হয়েছে।</p> <p> </p> <p><strong>সুরা ইখলাস</strong></p> <p>এ সুরায় ইসলামের মৌলিক আকিদার কথা বলা হয়েছে। সেটা হলো, আল্লাহর একত্ববাদ, পূর্ণাঙ্গ গুণাগুণ, অংশীদারহীন হওয়া ও অমুখাপেক্ষিতা। যারা ত্রিত্ববাদের প্রবক্তা, এ সুরায় তাদের প্রতিবাদ করা হয়েছে এবং যারা আল্লাহর সঙ্গে শরিক করে, তাদের দাবি নাকচ করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে আল্লাহ স্ত্রী ও সন্তান থেকে পবিত্র।</p> <p> </p> <p><strong>সুরা ফালাক</strong></p> <p>এ সুরায় সৃষ্টির অকল্যাণ ও ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকার কথা বলা হয়েছে। বিশেষত রাতের আঁধারি, জাদুটোনা, হিংসা-বিদ্বেষ ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকার কথা। এ সুরাটির মাধ্যমে অনেক খারাবি ও অকল্যাণ থেকে বেঁচে থাকার বিষয়টি জানা যায়।</p> <p> </p> <p><strong>সুরা নাস</strong></p> <p>শয়তান ও তার দোসরদের কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় নেওয়ার কথা এ সুরায় আলোচিত হয়েছে, যারা মানুষের মনে-মস্তিষ্কে কুমন্ত্রণা সৃষ্টি করে। সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস—এই তিনটি সুরার মাধ্যমে মানুষ সৃষ্টিজগতের সব ধরনের অনিষ্ট থেকে বাঁচতে পারে। (সমাপ্ত)</p>