<p><span><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span><span><span><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.1pt">চট্টগ্রাম বন্দরের বহুল আলোচিত, লাভজনক ও আধুনিক নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (্এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব দেশি-বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানকে না দেওয়ার জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারাও। প্রবল বিরোধিতার কারণে দেশি-বিদেশি কোনো সংস্থাকে না দিয়ে নিজেরাই এই টার্মিনাল পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span><span><span><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.1pt">টার্মিনালটি পরিচালনা করতে আগামী ছয় মাসে প্রায় ৪২ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। এই টাকা খরচের অনুমতি চেয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও ব্যবহারকারীরা বলছেন, জনবল সংকট এবং পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় টার্মিনাল পরিচালনা করা বন্দরের জন্য কঠিন হবে।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span><span><span><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.1pt">৫৭০ কোটি টাকা খরচ করে এক হাজার মিটার দৈর্ঘ্যের এই এনসিটি নির্মাণকাজ ২০০৭ সালে শেষ হলেও নানামুখী জটিলতায় অপারেটর নিয়োগ দেওয়া যায়নি। পরে অপারেটরের দায়িত্ব পায় দেশীয় প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক। এ টার্মিনালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা খরচ করে অত্যাধুনিক গ্যান্ট্রি ক্রেন স্থাপন করে। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বছরে ৩২ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়ে থাকে, এর মধ্যে ৪৪ শতাংশ এককভাবে পরিচালনা করা হয় এনসিটি থেকেই। যে কারণে বন্দরের ১৮টি অত্যাধুনিক গ্যান্ট্রি ক্রেনের মধ্যে ১৪টিই স্থাপনা করা হয়েছে এখানে। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span><span><span><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.1pt">চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জেনারেল কার্গো বার্থ (জিসিবি), নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) ও পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) এই চারটি টার্মিনাল রয়েছে। এর মধ্যে জিসিবি পরিচালনা করছে বার্থ অপারেটররা। সিসিটি ও এনসিটি পরিচালনা করে আসছে সাইফ পাওয়ারটেক এবং পিসিটি পরিচালনা করছে সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এনসিটি টার্মিনালটি পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটরদের দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেন। এর পর থেকেই এটা নিয়ে সমালোচনা দেখা দেয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এর বিরোধিতা করে এবং বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও বিভক্তি দেখা দেয়। এ অবস্থার মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেদের টার্মিনাল নিজেরাই পরিচালনার দায়িত্ব নিচ্ছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span><span><span><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.1pt">গত ১৯ জুন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে বন্দর চেয়ারম্যান একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, এনসিটি কনটেইনার টার্মিনাল প্রাইভেট অপারেটরের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আগামী ৬ জুলাই এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span><span><span><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.1pt">চট্টগ্রাম বন্দরের রাজস্ব আয়ের প্রায় অর্ধেক জোগান দেয় এনসিটি। ২০০৭ সালে নির্মিত আড়াই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের এই টার্মিনালে অপারেটর নিয়োগ নিয়ে শুরু থেকেই ছিল অনিয়মের অভিযোগ। প্রথম কয়েক বছর উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে দেশীয় অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেক এনসিটি চালালেও দীর্ঘদিন ধরে বিনা টেন্ডারে, বারবার মেয়াদ বাড়িয়ে উন্মুক্ত ক্রয় পদ্ধতিতে কাজ করছে সাইফ পাওয়ারটেক। বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি শফিকুল আলম জুয়েল বলেন, সেন্ট্রাল কনটেইনার মুভমেন্ট মনিটরিং সিস্টেম (সিকিএমএস) যদি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, তাহলে চট্টগ্রাম বন্দর সহজে এটির মাধ্যমে অপারেশন চালাতে পারবে।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span><span><span><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.1pt">এনসিটির বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি চট্টগ্রাম বন্দরের হলেও তা পরিচালনা করছে বেসরকারি অপারেটরের জনবল। এ ছাড়া দীর্ঘ ১৭ বছর কনটেইনার হ্যান্ডলিং ও পণ্য ডেলিভারিতে সম্পৃক্ততা নেই বন্দরের। ফলে হুট করে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কঠিন হবে বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর আলম।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p>