<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রায় দুই থেকে তিন কোটি মানুষের সামাজিক বীমা থাকা দরকার। কিন্তু দেশে এই সংখ্যা অনেক কম। এর পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে আস্থার সংকট। পাশাপাশি রয়েছে সমন্বয়হীনতা। তবে একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বেশি প্রয়োজন সামাজিক বীমা। কারণ যখন কোনো দেশের মানুষ সংকটের মুখে পড়ে তখন সেই ব্যক্তিকে আর্থিকভাবে রক্ষা করতে পারে বীমা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে সামাজিক বীমা ফোরামের সূচনা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক এক আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডি গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="সামাজিক বীমায় বড় বাধা আস্থার সংকট" height="142" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/january/26-01-2024/mk/kk-7-2024-01-26-01a.jpg" style="float:left" width="350" />আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জার্মান উন্নয়ন সংস্থার (জিআইজেড) প্রকল্প ম্যানেজার ড. সিলভিয়া পপ, ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্সের ঊর্ধ্বতন পরিচালক অরিঞ্জয় ধর, ইউএনডিপি বাংলাদেশের প্রগ্রাম ম্যানেজার আমিনুল আরেফিন, আইএলও কান্ট্রি অফিস ঢাকার চিফ টেকনিক্যাল অফিসার সাইদ সাদ হোসাইন গিলানি, সিপিডি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য পারভীন মাহমুদ প্রমুখ। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সামাজিক সুরক্ষা খাতে বীমা বাস্তবায়নের জন্য যেসব এজেন্সি রয়েছে তারা যথেষ্ট পরিমাণ সচেতন না। তাই তারা এ খাতের বাস্তবায়নে যথেষ্ট অগ্রগতি দেখাতে পারছে না। বাংলাদেশ যেহেতু স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের বা উন্নত দেশের কাতারে উঠছে এবং মানুষের আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই বাংলাদেশের মানুষের জন্য সরকারের যে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি রয়েছে সেখানেও উত্তরণের দরকার। তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এলডিসি থেকে উত্তরণের অংশ হিসেবে আমাদের উচিত হবে সামাজিক বীমা কর্মসূচিতেও দেশের জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করা। এ ধরনের কর্মসূচির জন্য বাংলাদেশে এরই মধ্যে নীতিকাঠামো রয়েছে। এখন এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা কিভাবে কাজ করছে সেটা দেখা দরকার।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিপিডির গবেষণা পরিচালক বলেন, নৈতিকভাবে সরকারের অঙ্গীকার পরিষ্কার, কিন্তু সেটা বাস্তবায়নের দিকে যেসব এজেন্সি রয়েছে তারা এখনো যথেষ্ট পরিমাণ সচেতন না এবং তারা এগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি দেখাতে পারছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে ধারণাগত পার্থক্য, আইনি ঘাটতি, প্রাতিষ্ঠানিক পরিস্থিতির জায়গায় দুর্বলতা এবং লোকবল প্রস্তুত না। এই যে সামগ্রিক ঘাটতি রয়েছে, সেই আলোকে বিবেচনা করলে এ ইনস্যুরেন্স অ্যাকশন প্লান ২০২৫ সালের মধ্যে অ্যাক্টে পরিণত করার দায়িত্ব রয়েছে। সেটা করার জন্য দুই বছর সময় হাতে আছে। এ সময় মোটেও যথেষ্ট না। এ জন্য এ ধরনের ফোরামের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিনিধিকে নিয়ে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ সময় জিআইজেড ইন বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজার ড. সিলভি পপ বলেন, যে কেউ যেকোনো সময় অক্ষম হতে পারে। সরকারি-বেসরকারি বা খাতভিত্তিক চিন্তা না করে সবার নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে। আর এ জন্য সামাজিক বীমা বেশ কার্যকর। তবে বীমা খাতে মানুষের আস্থা না থাকায় সরকারের শক্ত ভূমিকা ও চাকরিদাতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছাড়া সামাজিক বীমা চালু করা কঠিন বলে মনে করেন তিনি। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, বিদ্যমান বীমা করে যথাসময়ে টাকা ফেরত পাওয়া যায় না। যে কারণে মানুষের আস্থা কম। আস্থা বাড়ানো ও সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে হবে। সবাইকে বোঝাতে হবে তার ও পরিবারের সদস্যদের জন্য বীমা দরকার।</span></span></span></span></span></span></span></p>