<p>নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য দুই কোটি ২৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার। সয়াবিন তেলের পাশাপাশি ১৫ হাজার মেট্রিক টন মসুরের ডালও কেনা হবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে বিক্রির জন্য। এগুলোসহ ১৫ ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে তিন হাজার ৮৩৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।</p> <p>বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক সাংবাদিকদের কাছে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন।</p> <p><strong>সয়াবিন তেল কেনা হবে</strong></p> <p>মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক বলেন, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারের কাছে প্রতি মাসে ভর্তুকি মূল্যে মসুর ডাল বিক্রির লক্ষ্যে পৃথক তিনটি প্যাকেজে (প্রতিটি প্যাকেজে পাঁচ হাজার মেটিক টন) ১৫ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার তিনটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ব্লু স্কাই এন্টারপ্রাইজ, ঢাকা, মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্স, চট্টগ্রাম এবং রুবি ফুড প্রডাক্টস, চট্টগ্রাম পাঁচ হাজার মেট্রিক টন করে মোট ১৫ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল সরবরাহ করবে। প্রতি কেজির দাম ধরা হয়েছে ১১০ টাকা। এতে মোট ব্যয় হবে ১৬৫ কোটি টাকা। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের আগে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৯ লাখ টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।</p> <p>অতিরিক্ত সচিব আব্দুল বারিক জানান, চার লাখ টন চাল কেনা হবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে। বাকি পাঁচ লাখ টন উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কেনা হবে। দ্রুততম সময়ে চাল আনার জন্য দরপত্রের সময়সীমা ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।</p> <p>এর আগে ভারত ও মিয়ানমার থেকে সাড়ে তিন লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির গত বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।</p>