পুঁজিবাজারকে আর্থিক খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ উল্লেখ করে বাজারের সার্বিক স্থিতিশীলতা এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সচেষ্ট থাকবে বলে আগামী অর্থবছরের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঘোষিত মুদ্রানীতিতে এ কথা বলেন গভর্নর ফজলে কবির।
প্রায় এক বছর ধরে পুঁজিবাজার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সঙ্গে নানা বিষয়ে মতভেদের কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের সীমা বা এক্সপোজার লিমিট গণনার পদ্ধতিই নয় কেবল, আরো নানা বিষয়ে দুই পক্ষের চিন্তা ভিন্ন।
বিজ্ঞাপন
গভর্নর তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, পুঁজিবাজারে তারল্য সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় আবর্তনশীল ভিত্তিতে পুনর্বিনিয়োগযোগ্য পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিলের আকার ১৫৩ কোটি টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৯ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই তহবিল থেকে ২৮০ কোটি টাকা ছাড় করার পাশাপাশি পুঁজিবাজারে প্রতিটি ব্যাংকের বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের সুবিধার আওতায় রেপোর মাধ্যমে ২১৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, যা পুঁজিবাজারের তারল্য বাড়াতে সাহায্য করেছে। ’
সংবাদ সম্মেলনে ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরে বেসরকারি খাতে মুদ্রার সরবরাহের ক্ষেত্রে কিছুটা রক্ষণশীল নীতি ঘোষণা করা হয়।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ব্যাপক মুদ্রার সরবরাহ ধরা হয়েছে ১২.১ শতাংশ, যা কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির সিলিংয়ের সমষ্টির তুলনায় কিছুটা কম। করোনা পরিস্থিতি উন্নত হওয়া সাপেক্ষে অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হওয়ায় চলতি অর্থবছরে অর্থের আয় গতি বাড়বে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংক।