শিল্প-কারখানার কাছাকাছি থাকা নারীরা দূরে অবস্থান করা নারীদের তুলনায় কর্মে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় বেশি। কারণ যাতায়াতের জন্য বাড়তি সময় ও শ্রম দিতে হয় না। সেই সঙ্গে যাতায়াত ভাড়ায় লাগে না বাড়তি অর্থ। ফলে নারীরা কাজ করতে সুবিধা বোধ করে।
বিজ্ঞাপন
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সম্মেলনকক্ষে ‘রপ্তানি ও জেন্ডার গ্যাপ ইন ম্যানুফ্যাকচারিং এমপ্লয়মেন্ট’ শীর্ষক এক সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন।
গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে পুরুষের তুলনায় নারীর অংশগ্রহণ বেশি। কিন্তু এটি আরো বাড়ানোর সুযোগ আছে। বিশেষ করে চাকরির উচ্চ পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ এখনো কম।
মনিরুজ্জামান বলেন, অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে তৈরি পোশাক কারখানাগুলো থেকে অপেক্ষাকৃত দূরে বসবাস করা নারীদের তুলনায় কাছাকাছি বসবাসকারী নারীদের শিল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ বা সম্ভাবনা বেশি। সুতরাং রপ্তানিমুখী কারখানাগুলোর কাছাকাছি বসবাস শিল্প কর্মসংস্থানে লিঙ্গ বৈষম্য নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, রপ্তানি কারখানায় নারীরা কাজের সুযোগ পাওয়ায় তাদের পরিবারের মধ্যে নারীদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বেড়ে যায়। দেশের গার্মেন্ট কারখানাগুলোর মধ্যে ঢাকায় ৫০ শতাংশ, গাজীপুরে ৩০ শতাংশ এবং চট্টগ্রামে আছে ২০ শতাংশ।