করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া এবং সব ধরনের বিধি-নিষেধ শিথিল হওয়ায় আবারও ভ্রমণ বাড়ছে এশিয়া প্যাসিফিকে। মাস্টারকার্ড ইকোনমিক্স ইনস্টিটিউট’স ট্রাভেল ২০২২ : ‘ট্রেন্ডস’ এবং ‘ট্রানজিশনস’ রিপোর্ট সীমিত বিধি-নিষেধ ও কভিড-১৯ ভ্যাকসিন-পরবর্তী বাস্তবতায় বৈশ্বিক ভ্রমণ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিগত দুই বছরের অস্থিরতা পেরিয়ে মহামারির পর এবারই প্রথম অবকাশ ও ব্যবসাবিষয়ক ফ্লাইট বুকিং করোনা-পূর্ববর্তী চাহিদাকে ছাড়িয়ে গেছে, যা বৈশ্বিক ভ্রমণের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠারই পূর্বাভাস দিচ্ছে।
সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেওয়ায় পর্যটকদের ম্যাপে স্থান পাচ্ছে এশিয়া।
বিজ্ঞাপন
ভ্রমণবিষয়ক বিধি-নিষেধ শিথিল এবং প্রায় দুই বছর পর সীমান্ত উন্মুক্ত হওয়ার ফলে ইনবাউন্ড ও আউটবাউন্ড (অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী) উভয় ভ্রমণই বেড়েছে। ভোক্তারা তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সঞ্চয় ভ্রমণে খরচ করছে এবং ইন্দোনেশিয়ার সীমান্ত উন্মুক্ত হওয়ার পর ২০২২ সালে সেখানে অস্ট্রেলিয়ার ফ্লাইট বুকিং বেড়েছে প্রায় ২০০ শতাংশ।
মহামারির কারণে ভ্রমণ ক্ষতি হওয়ায় এশিয়া প্যাসিফিকে অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ভ্রমণকারীদের বেশি বিমান ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এশিয়া প্যাসিফিকে বিমান ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে, যেটি অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরের ২০১৯ সালের ভাড়ার চেয়ে প্রায় ১১ শতাংশ ও ২৭ শতাংশ বেশি। এই অঞ্চলে বিমান খাতে চাকরির সংস্থান এখনো করোনা-পূর্ব সময়ের চেয়ে নিচে রয়েছে।