জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় হা-হুতাশ করছে ব্রিটেনের ভোক্তারাও। গতকাল বুধবার দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর (ওএনএস) জানায়, গত এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৯ শতাংশ, যা ৪০ বছরে সর্বোচ্চ। ১৯৮২ সালের পর এমন মূল্যস্ফীতি আর দেখেনি যুক্তরাজ্যের জনগণ। জীবনযাত্রার ব্যয় এভাবে বেড়ে যাওয়ায় চাপ বাড়ছে অর্থমন্ত্রী রিশি সুনাকের ওপর।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে দেশগুলো উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং গত এপ্রিল মাসে ব্রিটেনে মুদ্রাস্ফীতির এই উল্লম্ফনে গত মাসের জ্বালানি শুল্কের বৃদ্ধিকে প্রতিফলিত করছে। ’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এই বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো থেকে মানুষকে সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করতে পারছি না। তবে যেখানে সম্ভব সেখানে আমরা উল্লেখযোগ্য সহায়তা প্রদান করছি। এ ছাড়া আরো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত আছি আমরা। ’ এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জানিয়েছিল, চলতি বছরের শেষের দিকে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে। অবশ্য শুধু যুক্তরাজ্যই নয়, গোটা বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। এক মাস ধরে কার্যত ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা। জাপানে ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আফ্রিকায় খাদ্য সংকট শুরু হয়েছে, যা সামাজিক লড়াইয়ে রূপ নিতে পারে। সব মিলিয়ে বিশ্বজুড়েই এক অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। মূলত ইউক্রেন যুদ্ধ সেই অবস্থায় আরো ইন্ধন দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে গত মার্চ মাসে আরেক ইউরোপীয় দেশ জার্মানির মূল্যস্ফীতি ৭.৩ শতাংশে পৌঁছায়। এরপর এপ্রিল মাসে তা আরো বৃদ্ধি পায়। ১৯৮১ সালে পশ্চিম জার্মানি শেষ এমন দ্রুত মূল্যস্ফীতি দেখেছিল। অর্থাৎ এই মূল্যস্ফীতি গত চার দশকে ঘটেনি। মূলত তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই এই হারে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এএফপি, রয়টার্স