দেশের পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সোমবার এক দিনেই ১৩৪ পয়েন্ট হারিয়েছে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩৪.৫৪ পয়েন্ট কমে ৬৪৩০.৯৩ পয়েন্ট হয়েছে। এ পতন গত দুই মাস ৯ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
বিজ্ঞাপন
গত সপ্তাহের শেষ দিক থেকেই পুঁজিবাজারে পতনের হাওয়া চলছে। টানা চার দিনে ডিএসই সূচক কমেছে ২৬৭.৪ পয়েন্ট। ডিএসইতে এদিন এক হাজার ২৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যেখানে বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ৮২৩ কোটি ৩৬ লাখ। অর্থাৎ শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে গেছে। ডিএসইতে মোট ৩৮১টি কম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট হাতবদল হয়েছে সোমবার। এর মধ্যে ২৬টির দর বেড়েছে, ৩৪৮টির কমেছে এবং সাতটির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ২১.৮৭ পয়েন্ট কমে ১৪১০.২৯ পয়েন্ট হয়েছে। আর ডিএস৩০ সূচক ৪০.৯৯ পয়েন্ট কমে হয়েছে ২৩৬৫.৯২ পয়েন্ট।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ডলারের সংকট, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি দেউলিয়া ঘোষণার পাশাপাশি প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার ধরা পড়ায় পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। পি কে হালদার গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর সঙ্গে পুঁজিবাজারে জড়িতরা ভয় ও আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁদের অনেকে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে বিনিয়োগকারীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।
অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৮৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮৮৬৪ পয়েন্টে। এ বাজারে ৩০৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৬৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির।