<p>দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত কুরিয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের লেনদেন তদারকিতে আনতে নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালা অনুযায়ী, এখন থেকে কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের পার্সেল সেবা বিতরণের বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে লেনদেন করতে হবে। এ জন্য প্রত্যেকটি কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংকে ‘সেটলমেন্ট অ্যাকাউন্ট’ খুলতে হবে। সেটলমেন্ট অ্যাকাউন্টে কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিন যে নগদ অর্থ জমা দেবে, তার বিপরীতে পণ্যের ঘোষিত মূল্য ব্যাংকগুলোর সেন্ট্রাল ডাটা সিস্টেমে সংরক্ষণ করতে হবে। স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্র্রয়োজনে ঘোষিত মূল্যের তালিকা যাচাই করতে হবে। এতে অসংগতি বা অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হলে ব্যাংক স্বতপ্রণোদিত হয়ে বা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানের সেটলমেন্ট অ্যাকাউন্ট স্থগিত বা বন্ধ করে দিতে পারবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।</p> <p>বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানের পণ্য স্থানান্তর ও বিতরণ কার্যক্রম থেকে পণ্যমূল্যের বিপরীতে প্রাপ্ত নগদ অর্থের লেনদেন পরিশোধ কার্যক্রমের আওতাভুক্ত। দেশের অভ্যন্তরে পরিচালিত সব পরিশোধ কার্যক্রম বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২-এর ৭(এ)ই ধারা অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যপরিধির আওতাধীন বিধায় কুরিয়ার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মূল্যঘোষিত পণ্য বা পার্সেল বিতরণ থেকে প্রাপ্ত পণ্যমূল্যের অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে লেনদেনের জন্য এই গাইডলাইন্স জারি করা হলো।</p>