সমাজে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে সরকারের তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবে। একই সঙ্গে প্রতিবন্ধীদের কাজে সহায়তা করে এমন প্রতিষ্ঠানের নামেও এই সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের নামে সঞ্চয়পত্র কিনতে কোনো সীমা থাকবে না। জাতীয় সঞ্চয়পত্র বিধিমালা সংশোধন করে সরকার প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঞ্চয়পত্র কেনার এই সুযোগ দিয়েছে।
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সঞ্চয়পত্র শাখা থেকে সঞ্চয়পত্র বিধিমালা সংশোধনসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানো হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপন গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
বিধিমালা সংশোধন করে বলা হয়েছে, এখন থেকে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা ও কল্যাণে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবে। একই সঙ্গে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবে। আলোচ্য সঞ্চয়পত্র থেকে অর্জিত মুনাফা অটিস্টিকদের কল্যাণে ব্যয় করা যাবে। তবে এই সঞ্চয়পত্র কেনার আগে জেলা সমাজকল্যাণ অফিস থেকে প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে। তবে আলোচ্য সঞ্চয়পত্রের বাইরে অন্য কোনো সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে না। প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকেই এটি কার্যকর করা হয়েছে।
বর্তমানে বাজারে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র চালু রয়েছে। এগুলো হচ্ছে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র।
মন্তব্য