<p>মন্দায় পড়েছে স্থায়ী, যৌথ ও বৈদেশিক বিনিয়োগ। গত তিন মাসে দেশে বিনিয়োগ প্রস্তাব কমেছে ৩৭ শতাংশের বেশি। প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ও টাকার অঙ্কে উভয় দিক থেকেই তার আগের প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) বিনিয়োগ কমেছে এ সময়। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) তথ্য অনুসারে দেশে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে বিনিয়োগ প্রস্তুাব এসেছে ২৯১টি। তার আগের প্রান্তিকে অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাসে দেশি, বিদেশি ও যৌথ মিলিয়ে নিবন্ধন হয়েছিল ৩১৯টি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের সংখ্যার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে টাকার অঙ্কের বিনিয়োগ প্রস্তাবও। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে টাকার অঙ্কে বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছিল ১৭ হাজার ২৬২ কোটি টাকা সমপরিমাণের। তার আগের প্রান্তিকে বিনিয়োগ নিবন্ধন হয়েছিল ২৭ হাজার ৪৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকার। অর্থাৎ তিন মাসে বিনিয়োগ প্রস্তাব কমেছে ১০ হাজার ২৩১ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সমপরিমাণ। মার্চ প্রান্তিকে বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রকৃত বিনিয়োগ হিসেবে এলে মোট ৩৩ হাজার ৮১১ জন লোকের কর্মসংস্থান হতো।</p> <p>বিডার তথ্যে দেখা যায়, মার্চ প্রান্তিকে স্থানীয় বিনিয়োগ কমেছে ৪১ শতাংশ। এ সময় স্থানীয় বিনিয়োগের জন্য নিবন্ধিত ২৩৯টি শিল্প ইউনিটে প্রস্তাবিত অর্থের পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ২৪২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। ডিসেম্বর প্রান্তিকে ২৫৭টি শিল্প ইউনিটের প্রস্তাবিত অর্থের পরিমাণের চেয়ে ছয় হাজার ৫৯০ কোটি ১২ লাখ টাকা কম। ডিসেম্বর প্রান্তিকে তিন মাসে স্থানীয় বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছিল ১৫ হাজার ৮৩২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের প্রান্তিকের তুলনায় শিল্প ইউনিট নিবন্ধন কমেছে ১৮টি বা ৪১ শতাংশ। এ ছাড়া আগের বছর একই সময়ের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে ৩৫ শতাংশ।</p> <p>এ ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগ নিবন্ধন কমেছে ৩১.২৩ শতাংশ। ডিসেম্বর প্রান্তিকে বিনিয়োগের জন্য শতভাগ বিদেশি শিল্প ইউনিটের নিবন্ধন ছিল ৩৩টি। এ ছাড়া দেশি ও বিদেশি যৌথ বিনিয়োগ নিবন্ধন ছিল ১৯টি। মোট ৫২টি শিল্প ইউনিটের বিপরীতে আট হাজার ২০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে।</p> <p> </p>