<p>করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিদেশি ফল বিক্রিতে ধস নেমেছে। গতকাল রবিবার রাজধানীর পাইকারি ফলের বাজার বাদামতলী, শান্তিনগর, কারওয়ান বাজার, কুড়িল চৌরাস্তাসহ কয়েকটি খুচরা ফলের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ফল সাজিয়ে বসে আছেন কিন্তু ক্রেতা নেই। বিক্রেতারা জানান, ১০ দিন আগেও ফলের বিক্রি বেশ ভালো ছিল কিন্তু এখন বিক্রি একবারে কমে যাওয়ায় তাঁরা লোকসানে পড়েছেন। করোনা আতঙ্কের কারণে মানুষ এখন নিত্যপণ্য কেনাকাটায় ভিড় করলেও ফল কিনতে আসছেন না।</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2020/03.March/23-03-2020/kalerkantho-2020-03-23-11.jpg" style="float:left; height:181px; margin:10px; width:100px" />দেশে বেশির ভাগ ফল আসে চীন থেকে। বর্তমানে চীনের এমন পরিস্থিতির কারণে ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, চিলি ও নিউজিল্যান্ড থেকে বেশি দামে ফল কিনে আনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। কিন্তু করোনাভাইরাস আক্রমণের ভয়ে ক্রেতারা ফল কিনছেন না। তাই ফল বিক্রি গড়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৭৫ শতাংশ কমে গেছে। বিক্রি কমে যাওয়ায় ফলে পচন ধরে প্রতিদিনই নষ্ট হচ্ছে। পচনশীল দ্রব্যের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার চেয়ে এ সপ্তাহেই সরকারের কাছে আবেদন করবে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফআইএ)।</p> <p>বাদামতলীর ফল ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘করোনার প্রভাবে আমাদের ফল বিক্রি কমে যাওয়ায় ক্ষতির মধ্যে রয়েছি। ফল হলো পচনশীল, তাই মজুদ করে রাখারও উপায় নেই। বিক্রি করতে না পারায় ফলগুলো পচে যাচ্ছে। আগে যা বিক্রি করতে পারতাম তার ৭৫ শতাংশ বিক্রি কমে গেছে। বিদেশ থেকে ফল নিয়ে আসতে হলে আমাদের ৩৫ থেকে ৪০ দিন আগেই অর্ডার দিয়ে রাখতে হয়। দেশের এ অবস্থা হবে আগে জানলে ফলের অর্ডার দিয়ে রাখতাম না।’</p> <p>রাজধানীর কুড়িল চৌরাস্তা এলাকার ফল ব্যবসায়ী শহিদ মোল্লা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগে আমি দৈনিক ফল বিক্রি করতে পারতাম ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার। করোনাভাইরাসের কারণে দৈনিক ফল বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকার। বিক্রি কমে যাওয়ার কারণে পচন ধরে ফল নষ্টও হচ্ছে।’</p> <p>বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ফলের ব্যবসা নিয়ে আমরা এখন খুবই চিন্তিত ও আতঙ্কিত। ফল যেহেতু পচনশীল দ্রব্য, এটি তো ধরে রাখতে পারব না। করোনার কারণে ফলের বাজার খুবই খারাপ যাচ্ছে।’</p>