<p>হিসাব খুলতে নো ইওর কাস্টমার বা কেওয়াইসি ফরম পূরণ গ্রাহকের জন্য বাধ্যতামূলক। বিদ্যমান নিয়মে কাগজের ফরমের মাধ্যমে গ্রাহকের এসব তথ্য পূরণ করা হয়। এই ফরম পূরণে ৩০ মিনিট সময় লেগে যায়। আর হিসাব খোলার পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে লাগে কয়েক দিন। এবার সেই পরিস্থিতির অবসান হচ্ছে। ইলেকট্রনিক কেওয়াইসি বা ই-কেওয়াইসি চালুর খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। ডিজিটাল এ ব্যবস্থায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) থাকলেই খোলা যাবে ব্যাংক হিসাব। অনলাইনে মাত্র পাঁচ মিটিটেই হিসাব খোলার পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এতে থাকবে না কোনো কাগজের ব্যবহার। এ ছাড়া হিসাব খোলার পরিচয়দানকারীর কোনো তথ্য লাগবে না। আজ মঙ্গলবার ইলেকট্রনিক কেওয়াইসি বা ই-কেওয়াইসি চালুর সার্কুলার জারি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ই-কেওয়াইসি রিপোর্ট প্রদানকারী সব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা, ক্যাপিটাল মার্কেন্ট ইন্টারমিডিয়ারি, কো-অপারেটিভ সোসাইটি, এনজি এবং অন্যান্য অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য পরিপালনীয় হবে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রত্যেক সংস্থাকে দুই থেকে তিন মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হতে পারে।</p> <p>বিএফআইইউর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ নীতিমালা চূড়ান্তের আগে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ৩৩ জেলার ৫০ এলাকায় ব্যাংক হিসাব খুলতে ই-কেওয়াইসি ব্যবহৃত হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, এ পদ্ধতিতে প্রতিটি হিসাব খুলতে মাত্র পাঁচ মিনিট লেগেছে।</p> <p>মূলত পাঁচ ধাপে সম্পন্ন হবে পুরো ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া। প্রথমে হিসাব খুলতে আসা ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ বায়োমেট্রিকের (আঙুলের ছাপ, মুখমণ্ডলের ছবি বা আইরিশ) মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। এ প্রক্রিয়া কোনো ব্যাংকের শাখায় বা এজেন্টদের কাছে থাকা ট্যাবে বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। তখন নির্বাচন কমিশনের তথ্যভাণ্ডার থেকে তাৎক্ষণিক যাচাই হবে গ্রাহকের পরিচিতি। এরপর দ্বিতীয় ধাপে গ্রাহকের ছবি তোলা হবে। তৃতীয় ধাপে ডিজিটাল ফরম্যাটে গ্রাহকের নাম, মা-বাবা বা স্বামী/স্ত্রীর নাম, লিঙ্গ, পেশা, মোবাইল ফোন নম্বর, ঠিকানা, মনোনীত ব্যক্তির (নমিনি) পরিচয়ের তথ্য পূরণ করা হবে। এর মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেওয়াইসি ফরমে চলে আসবে। অতিরিক্ত তথ্য প্রয়োজন হলে শুধু সেটা ইনপুট দেওয়া হবে। চতুর্থ ধাপে গ্রাহকের ডিজিটাল স্বাক্ষর কিংবা পিন নম্বর নেওয়া হবে। আর পঞ্চম ধাপে হিসাব খোলার বিষয়ে গ্রাহককে মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা পাঠাবে ব্যাংক। গ্রাহক বার্তা পেলেই হিসাব খোলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এই পুরো প্রক্রিয়া পাঁচ মিনিটেই সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন বিএফআইইউর কর্মকর্তারা।</p>