<p>বাজারে সব ধরনের প্রতিযোগিতাবিরোধী তৎপরতা নিষিদ্ধ করে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয়। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন হলেও এর নীতি-কাঠামোর বাস্তবায়নই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে জীবনযাপন ব্যয় কমিয়ে আনা সম্ভব বলেও মনে করছে উন্নয়ন সমন্বয়। গতকাল বৃহস্পতিবার উন্নয়ন সমন্বয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতানীতি শীর্ষক এক সংলাপে এমনটাই জানিয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি।</p> <p>সংলাপে প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম বলেছেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সরকারের তেমন কিছু করার থাকে না। এখানে অসাধু ব্যবসায়ীসহ অনেকেই মনোপলি করে এমন অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সে কারণে সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন আছে মাঝেমধ্যেই। তাই দেশের বাজারব্যবস্থাপনায় আরো দক্ষতা বাড়াতে হবে। তাঁর মতে, বাজারে সব ধরনের কারসাজি রোধ করা গেলে ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব।</p> <p>সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান ড. আতিউর রহমান। এতে বলা হয়, বাজারে সব পক্ষের মধ্যে ন্যায্য প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। কারণ ন্যায্য প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে প্রবৃদ্ধি গতিশীল এবং বাজারব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। এতে সার্বিক উৎপাদন ক্ষমতা ও ভোক্তার কল্যাণও বৃদ্ধি পায়।</p> <p>এতে আরো বলা হয়, দেশের বাজারে যারা ছোট খেলোয়াড়, তারাই বড় ভূমিকা রাখছে। যেমন দেশের মোট শ্রমশক্তির ৮৩ শতাংশই নিযুক্ত আছে ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পে। কাজেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলোকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন কার্যকর প্রতিযোগিতানীতি। প্রতিযোগিতা নিশ্চিতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সব অংশীজনের চ্যালেঞ্জগুলো যথাযথভাবে চিহ্নিত করতে হবে এবং তা মোকাবেলার জন্য এক সঙ্গে এক ছাদের নিচে কাজ করতে হবে।</p> <p>প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম আরো বলেন, প্রতিযোগিতা কমিশনের দুর্বলতা রয়েছে এটা স্বীকার করি। কারণ আমাদের নিজস্ব জনবল বলতে মাত্র দুজন। তবে দু-এক মাসের মধ্যে জনবল ৩০-৩৫ জন হয়ে যাবে।</p> <p>ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এ কে এনামুল হক বলেন, শিল্পায়নের সঙ্গে প্রতিযোগিতা কমিশনের কাজের সমন্বয় জরুরি। কারণ বাজারে প্রডাক্ট ও সরবরাহ বাড়লে ভোক্তা উপকৃত হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো নতুন আইডিয়া নিয়ে আসা উদ্যোক্তারা অর্থায়নের সমস্যায় বাজারে আসতে পারে না। তাদের ব্যাংকও ঋণ দিতে চায় না। কোথাও গণ্ডগোল আছে।</p>