<p>আমদানিপর্যায়ে নির্ধারিত মূল্য সংযোজন কর (মূসক) দিলেও উৎপাদনপর্যায়ে কর অব্যাহতি পায় অ্যালুমিনিয়াম তৈজসপত্র। নিত্য ব্যবহার্য এ তৈজসপত্রে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে উৎপাদনপর্যায়ে কর অব্যাহতি সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত তৈজসপত্রশিল্পের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।</p> <p>গতকাল সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ অ্যালুমিনিয়াম ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। তাঁরা বলছেন, অ্যালুমিনিয়াম তৈজসপত্রের বড় গ্রাহক গ্রামপর্যায়ের নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষ। কাজেই উৎপাদনপর্যায়ে অব্যাহতির সুযোগ বহাল রাখার দাবি সংগঠনটির।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অ্যালুমিনিয়াম তৈজসপত্রে উৎপাদনপর্যায়ে মূসক অব্যাহতির সুযোগ তুলে দিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে, যা বর্তমানে দেশীয় শিল্পের উন্নয়নমুখী ও উৎপাদনবান্ধব নীতিকে সমর্থন করে না। দেশীয় অ্যালুমিনিয়াম শিল্প খাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। প্রস্তাবিত বাজেটে ১৩৫টি পণ্যকে উৎপাদনপর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে কিন্তু এইচএস কোড ৭৬.১৫ আওতাধীন পণ্যটিতে কর অব্যাহতি তুলে দেওয়া হয়েছে। যার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই বলে মনে করছে সংগঠনটি। শ্রমঘন এই শিল্পকে রুগ্ণ ও বিলীন হওয়া থেকে রক্ষা করতে মূসক অব্যাহতির সুযোগ বহাল রাখার দাবি তাঁদের। সংগঠনটির সভাপতি ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমদানিপর্যায়ে মূসক পরিশোধ করার পর এখন উৎপাদনপর্যায়ে কর দিতে হলে সংকটে পড়বে অ্যালুমিনিয়াম তৈজসপত্র শিল্প খাত। বাড়তি করে প্রভাব পড়বে ভোক্তারই ওপর। উৎপাদনের পর ভোক্তাপর্যায় যেতে পণ্যটি চার থেকে পাঁচ হাত বদল হয়। তাই উৎপাদনপর্যায়ে মূসক দিতে হলে ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি কেজি তৈজসপত্রের দাম বাড়বে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘দেশের তৈরি তৈজসপত্র দেশের প্রান্তিক মানুষ ব্যবহার করে। এ পণ্যটির দাম বাড়বে, চাপে পড়বে সাধারণ ভোক্তা। এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে অ্যালুমিনিয়ামের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়া তৈজসপত্রে দাম বাড়ানো হয়েছে। কর আরোপ করা হলে দাম আরো বাড়বে, প্রান্তিক মানুষের আওতার বাইরে চলে যাবে।’</p>