<p>আরেকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক অনুমতি পেল দেশের অন্যতম ভোগ্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়নে ১০৮ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হবে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় সেখানে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে সিটি গ্রুপের।</p> <p>গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) কার্যালয়ে হোসেন্দি অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের হাতে প্রাক-যোগ্যতা লাইসেন্স তুলে দেওয়া হয়। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী প্রাক-যোগ্যতা লাইসেন্স তুলে দেন সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের হাতে। সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেবে বেজা। অনুষ্ঠানে হোসেন্দী অর্থনৈতিক অঞ্চলের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শম্পা রহমানসহ বেজার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ২০১৭ সালের মে মাসে সিটি গ্রুপকে প্রথম অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রাক-যোগ্যতার সনদ দেয় বেজা। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসীতে ৭৮ একর জমিতে এ অঞ্চল স্থাপন করা হচ্ছে। এতে প্রাথমিক বিনিয়োগ হচ্ছে দেড় হাজার কোটি টাকা।</p> <p>অনুষ্ঠানে সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অদূরে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় প্রাথমিকভাবে ১০৮ একর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি স্থাপন করা হবে। ভবিষ্যতে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি ১৫০ একরে উন্নীত করা হবে। উদ্যোক্তারা এখানে ১০টি শিল্প ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে।</p> <p>তিনি বলেন, সিমেন্ট, সল্ট অ্যান্ড কেমিক্যালস, সিরামিক পণ্য, শিপ বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে অর্থনৈতিক অঞ্চলে।</p> <p>হোসেন্দী অর্থনৈতিক অঞ্চলের চেয়ারম্যান শম্পা রহমান বলেন, এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। চীন, থাইল্যান্ড ও জাপানের বিভিন্ন বিনিয়োগকারী এরই মধ্যে এই অঞ্চলে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে।</p> <p>তিনি বলেন, যোগাযোগের দিক থেকে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল অত্যন্ত সুবিধাজনক স্থানে অবস্থিত। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি মেঘনা নদীর তীরে ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। ফলে সেখানে নৌপথ ও সড়কপথে যোগাযোগের সুব্যবস্থা রয়েছে। রাজধানী থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি।</p> <p>বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নের জন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে সাতটি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। বেজার আওতায় স্থাপিত ভূমি ব্যাংক থেকে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী ভূমি সহজে বরাদ্দ নিয়ে শিল্প-কারখানা স্থাপন করতে পারছেন।</p> <p>তিনি আরো জানান, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইউনিট বিনিয়োগকারীদের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানিসহ সব ধরনের সুবিধা দেওয়ার জন্য সরকারি বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। সিটি গ্রুপ এর আগেও তাদের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন আগের মতো প্রতিষ্ঠানটি তাদের সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে কাজ করবে।</p> <p>অনুষ্ঠানে জানানো হয়, হোসেন্দী ইকোনমিক জোনের উদ্যোক্তাদের শিপ বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রিসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্প-করখানা গড়ে তুলতে উদ্যোক্তারা পরিকল্পনা করছেন।</p>