<p> আগামী দিনে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রচলিত দুটি পদ্ধতির সুনির্দিষ্ট ব্যবহার চালু করবে। ডিসক্লোজার বেজড স্থির মূল্য পদ্ধতিতে (ফিক্সড প্রাইস মেথড) আইপিওর আবেদন করা হলে কোনো প্রিমিয়াম চাওয়া যাবে না। এই পদ্ধতির আওতায় আইপিওতে আসতে আগ্রহী কোনো কম্পানি প্রিমিয়াম চাইলে সেই আবেদন বিবেচনায় নেবে না বিএসইসি।</p> <p> অভিহিত মূল্যে (ফেস ভ্যালু) শেয়ার বিক্রি করতে চাইলেই কেবল ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আওতায় বাজারে আসা যাবে। অন্যদিকে প্রিমিয়ামে শেয়ার ইস্যু করতে আগ্রহী কম্পানিকে বুকবিল্ডিং পদ্ধতির আওতায় বাজারে আসতে হবে। বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম খায়রুল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) আয়োজিত 'পঞ্চম ক্যাপিটাল মার্কেট ফেয়ার ২০১৫'-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রফেসর ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, 'আইপিও প্রক্রিয়ায় স্টক এক্সচেঞ্জগুলোকে সম্পৃক্ত করার জন্য নতুন লিস্টিং রেগুলেশনে আমরা তাদের ক্ষমতা দিয়েছি। যাতে একদিকে ইস্যুয়ার শেয়ারের ন্যায্য দাম পায়, ইস্যু ম্যানের ভালো ক্ষেত্র তৈরি হয় এবং বিনিয়োগকারীরাও যাতে প্রতারিত না হয়।'</p> <p> বিএসইসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, 'ডিসক্লোজার বেজড সিস্টেমে শুধু ফেস ভ্যালুতে শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে। প্রিমিয়াম নিয়ে আসতে চাইলে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে আসতে হবে। প্রয়োজনে বুকবিল্ডিং পদ্ধতি সংশোধন করা হবে।' তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ পুঁজিবাজারের ওপর নির্ভর করে। যেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতি নির্ভর করে ১০ থেকে ২০ শতাংশ। তাই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দিতেই হবে। বিনিয়োগকারীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পুঁজিবাজারকে বিশ্লেষণ করতে হবে।</p> <p>  </p>