শুক্রবার । ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯। ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬। ১৫ রবিউস সানি
ফটোগ্রাফার
কক্সবাজার বিচে কতগুলো ভ্রাম্যমাণ ফটোগ্রাফার আছে। এদের ধরে দুইবেলা থাপড়াইতে ইচ্ছা করে।...পেশাগত বা অন্য কারণে না। এরা ছবি তুলে দেয় সৈকতে আসা পর্যটকদের। খুবই ভালো বিষয়। সবাই ক্যামেরা নিয়ে আসে না। এই ধরনের কেউ ফটো তুলে দিলে ভালোই হয়।
তাই বলে ফটো যিনি তুলবেন, তাঁকে স্টাইল বলে দিতে হবে? খুব কমন একটা স্টাইল হলো—সৈকতের দিকে আঙুল দিয়ে দেখাতে হবে।
ফেসবুকে দেখা ছবি অনুযায়ী, এই একটা স্টাইল অনেক স্মার্ট নর-নারীকে বোকা বোকা বানিয়ে দিয়েছে। সমুদ্রের দিকে আঙুল দিয়ে দেখানোর কী আছে? এই রকম বেশ কিছু কমন স্টাইল আছে যা স্মার্ট মানুষের চেহারায় বোকা বোকা ভাব এনে দেওয়ার জন্য যথার্থ।
তবে এই দিক দিয়ে পতেঙ্গা বিচের ফটোগ্রাফাররা এককাঠি সরেস। এরা ক্যামেরার সঙ্গে গিটার নিয়ে ঘোরে। ছবির অন্যান্য স্টাইলের সঙ্গে পর্যটকের গলায় গিটার ঝুলিয়ে দেয়। যে লোকটা গানই শোনে না, সেই লোকটা পতেঙ্গা সৈকতে গলায় গিটার ঝুলিয়ে বসে আছে।
লাস্ট যখন পতেঙ্গায় গেলাম, দেখি বেড়াতে আসা বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর গলায় গিটার, ফটোগ্রাফার একের পর ছবি খিঁচে যাচ্ছে।
মাহতাব হোসেন
গল্প
আপনি কেন বিয়ে করেননি?
এই প্রশ্নের উত্তরে সেই ভদ্রলোক বলেছিলেন এই গল্প।
সে অনেককাল আগের কথা। তখন আমার নবীন যৌবন। এক বিয়েবাড়িতে গেছি। মেয়েকে সাতপাক ঘোরানো হচ্ছে। ছাদনাতলায় খুব ভিড়। সেই ভিড়ের মধ্যে আমি এক ভদ্রমহিলার বেনারসি শাড়ির আঁচল পা দিয়ে মাড়িয়ে ফেললাম। মহিলা ঘুরে দাঁড়িয়ে অকথ্য গালিগালাজ করতে লাগলেন, ‘স্টুপিড, ইডিয়েট, গবেট, চোখের মাথা নেই, মুরোদ নেই, ক্যাবলা, আনস্মার্ট, ধর্মের ষাঁড়, কুম্ভকর্ণ, অন্ধ, চোখের মাথা খেয়েছ, অকর্মার ধাড়ি’—ইত্যাদি। তীক্ষ বিশেষণে আমাকে জর্জরিত করতে করতে হঠাত্ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে জিভ কাটলেন, তারপর বললেন, ‘সর্বনাশ! আমি ভেবেছি আমার স্বামী বুঝি আমার আঁচলটা মাড়িয়ে দিয়েছে। আপনি দয়া করে কিছু মনে করবেন না, স্যরি।’
গল্প শেষ করে ভদ্রলোক বললেন, ‘আমি কিছুই মনে করিনি। বিয়েও আর করিনি।’
ফয়সাল আহমেদ
বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি
১০০ টাকা দামের একটি পণ্য ২২০ টাকা দিয়ে একসঙ্গে দুটি কেনাকে আমরা আদর করে ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি অফার’ নামে ডাকি।
এম ইয়াসিন আরাফাত
একটি পর্যবেক্ষণ
দাড়ি থাকলে মুখে স্নো কম লাগে।
আতিফ আতাউর
ইঁদুর-বিড়াল
চাকরিদাতা : চাকরির স্বার্থে অনেক মিছে কথা বলতে হতে পারে।
প্রার্থী : স্যার, আমি প্রেম করি।
চাকরিদাতা : আরে, এই চাকরি তো তোরই।
Baba Moin
ইঁদুর-বিড়াল
বন্ধুর বাবা : ছেলেরে টাকা দিয়া প্রাইভেট মেডিক্যালে ভর্তি করছি। পাস করলেই বাসার পাশে ক্লিনিক খুলে দেব। তখন দেখব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পইড়া কী করো।
বন্ধু : চাচা, ভাবছিলাম চাকরি করব। সিদ্ধান্ত বদলাইলাম। বন্ধু যখন ক্লিনিক খুলবে। এর পাশেই তখন আমি কবরস্থান খুলব।
Ahsan Dipu
নক দেওয়ার ১০টি টিপস
ক. তোমার লাস্ট ছবির জামাটা খুব সুন্দর। এত সুন্দর জামা কই থেকে কিনেছ?
খ. আপু! লাস্ট যে মিমটা শেয়ার করছেন ওটার মানে বুঝি নাই।
গ. গটঘ মানে কী? প্লিজ, বলো আপু।
ঘ. কমেন্ট ডিলেট করলেন কেন?
—কোন কমেন্ট?
—লাস্ট ছবিতে করলাম যে।
—দেখান দেখি কোনটা?
—এই যে এইটা।
—এমন কোনো কমেন্ট আসে নাই।
—অহ! স্যরি। ইন্টারনেট স্লো ছিল হয়তো। কমেন্ট পোস্ট হয় নাই তাহলে।
ঙ. —আপনাদের ব্রেকআপ হয়ে গেছে?
—এই প্রশ্ন কেন?
—অনেক দিন কাপল পিক আপলোড দেন না।
চ. —এত স্যাড কেন?
—কিসের স্যাড?
—মন খারাপের স্ট্যাটাস দিলেন যে!
ছ. —শাড়িটা সুন্দর।
—কোন শাড়ি?
—ওই যে একটা পেজের নীল শাড়ির ছবিতে একটু আগে যে লাইক দিলেন।
জ. —আপনার বার্গার ভালো লাগে, তাই না?
—কই পান এসব কথা?
—ফুডব্লগারের সব বার্গারের রিভিউতে আপনার লাভ রিঅ্যাক্ট দেখি তো, তাই।
ঝ. —স্যরি! ভুলে চাপ লেগে কল চলে গেছে।
ঞ. —লাভার বয় অনিক রিমুভড অ্যা মেসেজ...
তানভীর মেহেদী
জ্যামে একদিন
রিকশায় জ্যামে বসে আছি। হঠাত্ রিকশাওয়ালা বলে উঠল, মামা, হুন্ডার তো আর জাত থাকল না। বিষয়টা খেয়াল করছেন?
আমি বিষয়টা খেয়াল করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু জাত যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারলাম না। আমার তাকানো দেখে রিকশাওয়ালা সেটা বুঝতে পারল।
কী মামা, বুঝেন নাই?
না, জাত কিভাবে খোয়ালো?
ওই যে, হুন্ডাও এখন ভাড়া খাটতেছে। মনে করেন, শিল্পপতি ছাওয়ালও যদি হুন্ডা নিয়া বাইর হয় তাইলে মানুষ হাত উঁচাইয়া জিগায়, ওই হুন্ডা, যাইবা?
কথা শেষ করে রিকশাওয়ালা একগাল হাসে, ‘কী মামা, জাত কি আর থাকল?’
আমি রিকশাওয়ালার কথার জবাব না দিয়ে ইউটিউবে লালনের গান সার্চ দিই। জাত গেল জাত গেল একি আজব কারখানা।
পলাশ মাহবুব
পরামর্শ
ডিউটি থেকে ফেরার পথে যদি পান্থপথে জ্যাম পড়ে তাইলে অপেক্ষা না করে বাস থেকে নেমে যাবেন...শপিং মলে গিয়ে এসির বাতাসে ঠাণ্ডা হবেন...ফ্রি তে ওয়াশরুমও পাবেন। লাঞ্চ করে আবার ঘণ্টা খানেক বসে থাকার প্রস্তুতি নিয়ে বাসে উঠবেন। আমার মাথায় এত বুদ্ধি ক্যান।
অতন্দ্রিলা চন্দ্রা
গবেষণা
কোনো মেয়ে যদি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করে, তবে তার টাইমলাইনে না ঢুকে আগে নিজের টাইমলাইনে ঢুকি, আর অনেকক্ষণ ধরে গবেষণা করি এই ভেবে যে ‘কী এমন দেখল যে এক্সেপ্ট করে ফেলল?’
নিয়াজ মোর্শেদ
টিভির তারটা খারাপ লাগছিল। অতঃপর...
ঝগড়া
বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে। কাপল পিকচার চেঞ্জ করে প্রোফাইলে দিয়ে দিলাম নিজের হিরো মার্কা ছবি। আমি অসহায় মানুষ, এর চেয়ে বেশি কিছু করার সাহস বা ক্ষমতা আমার নেই।
রাশেদুল ইসলাম
মন্তব্য