যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক খ্যাতনামা সাময়িকী টাইম তাদের ২০২৫ সালের ‘বিশ্বস্বাস্থ্য খাতে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদকে। মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং সীমিত সম্পদের অঞ্চলে স্বাস্থ্য সমস্যার দৃষ্টান্তনির্ভর সমাধানে তাঁর অগ্রণী অবদানকে স্বীকৃতি জানিয়ে এই সম্মান দিয়েছে সাময়িকীটি।
ড. তাহমিদের নেতৃত্বে আইসিডিডিআরবি অত্যাধুনিক গবেষণা ও জীবন রক্ষাকারী পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের লাখো মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিয়েছে এবং বৈশ্বিক সহযোগিতা সম্পর্ক সুদৃঢ় করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আইসিডিডিআরবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সুসংবাদটি জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ড. তাহমিদ আহমেদের এই স্বীকৃতি শুধু ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং বাংলাদেশের তরুণ বিজ্ঞানী ও গবেষকদের জন্যও পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সঙ্গে বাংলাদেশে কাজ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবদান রাখার অনুপ্রেরণা।
টাইম ম্যাগাজিনের ওয়েবসাইটেও তাদের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এলিস পার্কের করা একটি প্রতিবেদনে ড. তাহমিদ আহমেদের গবেষণার প্রেরণা, বিষয় ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন টাইমের ২৬ মে ২০২৫ সংখ্যায়ও প্রকাশ করা হবে।
জানা যায়, আগামী ১৩ মে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ‘টাইম ১০০ ইম্প্যাক্ট ডিনার : লিডারস শেপিং দ্য ফিউচার অব হেলথ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অন্য মনোনীত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগ দেবেন ড. তাহমিদ আহমেদ।
টাইমের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য অনুযায়ী সেখানে তিনি একটি অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেবেন। তাঁর ওই বক্তব্য টাইমের সম্পাদকীয় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মেও প্রচার করা হবে।
এই অসামান্য স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে ড. তাহমিদ বলেন, ‘টাইমের ২০২৫ সালের স্বাস্থ্যে ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় থাকা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এই অর্জন আমার একার নয়, এটি আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী, কর্মী, বৈশ্বিক অংশীদার ও আমাদের সেবা গ্রহণকারীদের সবার।
টাইম আমাকে যে স্বীকৃতি ও গুরুত্ব দিয়েছে, তার জন্য আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আশা করি, এ ধরনের স্বীকৃতি অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াই এবং স্বাস্থ্য গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়াতে সাহায্য করবে, যা যুদ্ধ-সংঘাত নয়, বরং ন্যায়, স্বাস্থ্য ও মানুষের মর্যাদার পক্ষে কাজ করবে।’
এর আগে গত মাসে নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বিশ্বে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির ২০২৫ সালের টাইমের তালিকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম রাখা হয়। ২০২৪ সালে বিশ্বে ১০০ উদীয়মান নেতার তালিকায় নাম রাখা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে।