<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">একটা যুগের সমাপ্তিই তাহলে হয়ে গেল। তা হোক সেটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাট টি-টোয়েন্টি। মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান হয়ে এই প্রজন্মের শেষ প্রতিনিধি মাহমুদউল্লাহও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন। কাকতালীয় কি না, বিদায়ের মুহূর্তে মাহমুদ মনে করিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন পাঁচ সিনিয়রের প্রথমজন অর্থাৎ মাশরাফিকে। দুজনের শেষের ঢেউ যে একই তাল খুঁজে ফিরেছে। মাশরাফির পর মাঠ থেকে বিদায় বলছেন মাহমুদ। বাকি তিনজনের সেই সুযোগ হয়নি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কুড়ি ওভারের ক্রিকেট থেকে তামিম ও মুশফিক অবসর ঘোষণা দিয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সাকিব টি-টোয়েন্টি ছাড়ার খবর দিয়েছেন ভারতের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলার পরে। গতকাল দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে মাহমুদের ঘোষণাটা অবশ্য অনুমিতই ছিল। সেই অবসরের ঘোষণা যখন দিচ্ছেন, তখন তিনি সময়ের হিসাবে এই সংস্করণের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের হিসাবে তৃতীয় স্থানে দাঁড়িয়ে। আগের দুজনের একজন তাঁরই সতীর্থ সাকিব আল হাসান, আরেকজন জিম্বাবুয়ের শন উইলিয়ামস। ২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে মাহমুদের টি-টোয়েন্টি অভিষেক। ১৭ বছরের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটাও হতে যাচ্ছে দেশের বাইরে, হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে চলমান সিরিজের শেষ ম্যাচে। মাঠের পারফরম্যান্সে এবারের ভারত সফরটা বাংলাদেশের জন্য দুঃস্বপ্নের মতোই। তবে মাঠের বাইরের আলোচনা বাংলাদেশ দলকে ঘিরে। ভারতে বসে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে তাঁর অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেই ঘটনার রেশ যখন কাটছে, তখন দৃশ্যপটে এলেন মাহমুদ। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের যবনিকা টানার দিন নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ ছবিটাও এঁকে গেছেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেট থেকে মাহমুদের বিদায়ের রহস্য এখনো উন্মোচিত হয়নি। চালিয়ে যাচ্ছিলেন টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে। টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলার পর বাকি থাকল আর ওয়ানডে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হতে পারে মাহমুদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শেষ পদচারণে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদ শেষের গান শুনতে পাচ্ছিলেন বেশ কিছু দিন ধরে। ডালাসে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচজয়ী ১৬* রানের ইনিংসটার পর শেষ সাত ইনিংসে ৩৯ ছুঁই ছুঁই মাহমুদকে কমই ছন্দে খুঁজে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ শেষ করে আসতে না পারা এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালের সমীকরণ মেলানোর ম্যাচে তাঁর ৯ বলে ৬ রান করে তীব্র সমালোচিত হয়েছিলেন। এবার ভারত সফরের স্কোয়াডে তাঁর থাকাও বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। বিশেষ করে ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে দল গঠনের পথে মাহমুদের অন্তর্ভুক্তিকে অন্তরায় হিসেবে দেখা হচ্ছিল। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ভবিষ্যৎ বুঝতে পেরেই তাই আর কালক্ষেপণ করলেন না মাহমুদ। তাঁর শেষ কয়েক ইনিংসের মতো টি-টোয়েন্টিতে বেশ কিছু দিন ধরে বিবর্ণ বাংলাদেশের পারফরম্যান্সও। কোনোভাবেই যেন এই ফরম্যাটের তাল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গোয়ালিয়রে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতের সামনে অথৈ সাগরে হাবুডুবু খাওয়া বাংলাদেশের পক্ষে আজ দিল্লিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও অভাবিত কিছু ফেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তবে ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। মাহমুদের ক্যারিয়ারেও আছে এই অনিশ্চয়তাকে জয় করার গল্প। মাহমুদ তাঁর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত হিসেবে বেছে নিয়েছেন ২০১৬ সালে নিদাহাস ট্রফির শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মহাপ্রলয়ের জন্ম দেওয়া ইনিংসটিকে। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি ১৩৯.৫৯ স্ট্রাইক রেটে মাহমুদ খেলেছিলেন সে বছরই। ১৬ ম্যাচে ৩০.৫৫ গড়ে ২৭৫ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। সেবার মাহমুদ যেমন নিজেকে নতুন করে চিনিয়েছিলেন, নতুন যুগের সূচনায় বাংলাদেশও কেন তা পারবে না? মাহমুদ তো বটেই, সিনিয়র সতীর্থের বিদায়ি সিরিজে দারুণ কিছু করার রোমাঞ্চ ছড়িয়ে পড়ার কথা পুরো বাংলাদেশ দলে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তেমন কিছু হয়ে গেছে মাহমুদের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের হতাশায়ও সান্ত্বনার প্রলেপ পড়বে। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে জিততে জিততেও হারের হতাশা এখনো পোড়ায় মাহমুদকে। তবে আজ দিল্লিতে কিংবা হায়দরাবাদের শেষ ম্যাচে জিতলে নতুন কারোর হাতে প্রশান্তির সঙ্গে নিজের ব্যাটনটা তুলে দিতে পারবেন মাহমুদ। বাংলাদেশও নতুন শুরুর আগে পাবে আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>