<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় মোট ১৫ জন সিন্ডিকেট সদস্য উপস্থিত ছিলেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সিন্ডিকেট সদস্য রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রাজনীতি বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়। পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া হল সংসদকে কিভাবে শিক্ষার্থীবান্ধব করা যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা যে ৯ দফা দাবি দিয়েছিলেন, সেগুলোর মধ্যে একটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতি বন্ধ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন একদল শিক্ষার্থী।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এর মধ্যে গত বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে (এফএইচ) চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। একই রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেন একদল শিক্ষার্থী।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই দুই ঘটনা নিয়ে গতকাল দিনভর বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলে। এভাবে মানুষকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ জানায় বিভিন্ন দল, সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এরই মধ্যে এফএইচ হলের ছয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব ধরনের দলীয় রাজনীতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>