<p>শিক্ষা খাতে ভয়াবহ দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। তাঁরা দুর্নীতি বন্ধ ও শিক্ষার মানোন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন, শিক্ষার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।</p> <p>গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ খাতে ব্যয় বরাদ্দের ওপর আনা ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় সংসদ সদস্যরা এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ বলেন, শিক্ষক নিয়োগের পরও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। শিক্ষকরা গ্রামে যেতে চান না। এই সমস্যার সমাধান হওয়া দরকার। এ ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের নিজের এলাকায় পদায়নের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।</p> <p>ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার বলেন, শিক্ষায় বরাদ্দ সব সময় জিডিপির লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পিছিয়ে থাকে। শিক্ষাব্যবস্থায় বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও বৈষম্য লেগেই আছে। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক, শিক্ষাক্রম ও আঞ্চলিক বৈষম্য রয়েছে। মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা একই কর্মস্থলে পাঁচ-সাত বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকেন। নতুন কারিকুলাম নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।</p> <p>স্বতন্ত্র সদস্য মো. আবুল কালাম বলেন, শিক্ষায় দুর্নীতি হচ্ছে, সর্বক্ষেত্রে ভয়াবহ দুর্নীতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কাগজে-কলমে দুর্নীতি, টাকা ছাড়া কিছু করা যায় না। সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতির হাত থেকে শিক্ষাকে রক্ষা করতে হবে। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে আগামী এক বছরে পাঁচ লাখ শিক্ষিত বেকারের কর্মসংস্থান করতে হবে।</p> <p>জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। হয়েছে ভবনের পরিবর্তন, শিক্ষার মানের পরিবর্তন হয়নি। ভবন করা হলো, কিন্তু শিক্ষক নেই, বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত নেই। শিক্ষার উন্নয়নের থেকে দুর্নীতির দিকেই নজর বেশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। শিক্ষার দুর্নীতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। টাকা ছাড়া কিছুই হয় না। এমপিওভুক্তির জন্য টেবিলে টেবিলে টাকা দিতে হয়।</p> <p>আরেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহিদী বলেন, ‘শিক্ষায় প্রশাসনিক ব্যয় কমিয়ে গবেষণার দিকে নজর দেওয়া দরকার। আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে গবেষণার অবস্থা বেহাল। বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষকদের গবেষণায় শিক্ষকপ্রতি ব্যয় মাত্র এক লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যদি গবেষণার সুযোগ দিতে না পারি অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। গবেষণা বরাদ্দ বাড়াতে হবে।’</p> <p>জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘গত ছয় মাসে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে প্রায় ৯৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে</p> <p> </p>