<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রোজায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ দিন এবং সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫ দিন খোলা রাখতে সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আপিল বিভাগের আদেশের পরপরই গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগামী ২৫ মার্চ (১৪ রমজান) পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে এই স্তরের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জিতে আংশিক সংশোধন করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মার্চ (১০ রমজান) পর্যন্ত এই স্তরে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এর আগে রোজার প্রথম ১০ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং প্রথম ১৫ দিন মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গত ১০ মার্চ স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে ১১ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশে হস্তক্ষেপ না করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে শুনানির জন্য রাখেন। সেই ধারাবাহিকতায় শুনানির পর আদেশ দিলেন সর্বোচ্চ আদালত। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। আর রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফায়েজ।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পরে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করায় সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন এবং মাধ্যমিক-নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল ১৫ দিন খোলা থাকবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিশ্বের কোনো মুসলিম দেশে রোজার মাসে এত দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে না। তিনি এর পক্ষে সৌদি আরব, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান, ইরানসহ বিভিন্ন মুসলিমপ্রধান দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ক্যালেন্ডার আদালতে তুলে ধরেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রোজায় ইরানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ছুটি নেই; ঈদের জন্য দুই দিন ছুটি দেওয়া হয়। পাকিস্তানে তিন দিন, তুরস্কে পাঁচ দিন, মিসরে ৯ দিন, আফগানিস্তানে সাত দিন বন্ধ থাকে। রোজার মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১৮ দিন বন্ধ থাকে সৌদি আরবে।  </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এর বিপরীতে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রোজার সময় আমাদের দেশে যেসব অসুবিধা সৃষ্টি হয় তা কি অন্যান্য মুসলিম দেশে হয়? শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্কুল এক মাস বন্ধ করেছিল। পরে আবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে খোলা রাখার কথা বলা হয়।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এরপর আদালত হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়।   </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রোজার প্রথম ১০ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও বিজ্ঞপ্তি দেয়। এতে ১১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। পরে বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন শফিউর রহমান চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি। </span></span></span></span></span></span></span></span></p>