আবদুর রহমান বদি
কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত মামলার বিচার কার্যক্রম আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে বদির আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রফিকুল ইসলাম সোহেল।
বিজ্ঞাপন
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এই খারিজ আদেশের ফলে বিচারিক আদালতে বদির বিরুদ্ধে এই মামলার বিচারকাজ চলতে কোনো বাধা নেই। ’
ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য বদির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলাটি করে দুদক। মামলায় ৫৬ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ২৪ জুন আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর ২০১৭ সালে মামলাটির কার্যক্রম আবার শুরু হয়। পরে এ মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে চট্টগ্রামে বিচারিক আদালতে আবেদন করেন বদি। ওই আবেদন নাকচ করে ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বদির বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন তিনি। পরে তা গত ১৮ জানুয়ারি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হয় উচ্চ আদালতে। এরপর আবার মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে বিচারিক আদালতে আবেদন করেন বদি। শুনানি শেষ গত ১৮ এপ্রিল তা খারিজ করে দেন চট্টগ্রামের বিচারিক আদালত। সে খারিজ আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করেন বদি, যা গতকাল খারিজ হলো।