বিশ্বব্যাপী চলমান মূল্যস্ফীতির প্রভাব উন্নত অর্থনীতির দেশ যুক্তরাজ্যেও পড়েছে। দেশটির মূল্যস্ফীতি ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে দেশটির মানুষ খাদ্যগ্রহণ কমিয়ে দেওয়াসহ সাশ্রয়ের বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে।
গত বুধবার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ৯.১ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সমীক্ষাটির জন্য গত ১১ ও ১২ মে অনলাইনে ১৬ থেকে ৭৫ বছর বয়সী ব্রিটিশদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
জরিপ অনুযায়ী, খরচ কমাতে শীতে ঘর গরম রাখার ব্যবস্থা ঠাণ্ডা লাগলেও সময়ে সময়ে বন্ধ রাখছে যুক্তরাজ্যের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ। ৫২ শতাংশ মানুষ সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কমিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া ৪৪ শতাংশ মানুষ গাড়ি চালানো কমিয়ে দিয়েছে, আরো কম দামে জিনিসপত্র কিনতে সুপারশপ বদলে ফেলেছে ৪৪ শতাংশ মানুষ।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আগামী ছয় মাসে আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জরিপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ মানুষ। ৮৭ শতাংশ মানুষ মনে করে এ সময় গ্যাস ও পানির দাম বাড়বে। ৮৬ শতাংশ মানুষের ধারণা খাদ্যের দাম বাড়বে। ৭৩ শতাংশ মানুষ মনে করে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়বে। ৬৪ শতাংশের বিশ্বাস সামাজিক মেলামেশার খরচও বাড়বে।
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলছেন, বাসাবাড়ির বিদ্যুতের দাম আগামী শরৎকালে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরপর পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সূত্র : রয়টার্স