কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে করা একটি তালিকায় কুমিল্লা অঞ্চলে মাদকের পৃষ্ঠপোষকদের তালিকায় ১ নম্বরে তাঁর নাম থাকা নিয়ে এ বিতর্কের শুরু।
আরফানুল হক রিফাত কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তাঁকে কুসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মাদক, চোরাকারবার ও এর পৃষ্ঠপোষকদের চট্টগ্রাম বিভাগের তালিকাসহ একটি চিঠি পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর তালিকাভুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে। গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় দেশব্যাপী ওই তালিকা করা হয়। ওই তালিকায় কুমিল্লা জেলার মাদক ও চোরাকারবারিদের ১৬ জন পৃষ্ঠপোষকের নাম ছিল।
তালিকায় দেখা যায়, কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুর এলাকার বাসিন্দা আরফানুল হক রিফাতকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের কুসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ১৪ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ছয়জন ছিলেন হেভিওয়েট প্রার্থী। এর মধ্যে তিনজনের সঙ্গে গতকাল দুপুরে কালের কণ্ঠ কথা বলেছে। তাঁরা রিফাতের এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হলেও কেউ নাম প্রকাশ করতে চাননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই তিন প্রার্থী বলেছেন, একটি চক্র রিফাতকে মনোনয়ন পেতে সহায়তা করেছে।
আরফানুল হক রিফাত গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যে তালিকার কথা বলা হচ্ছে তা চার বছর আগের। এ সম্পর্কে কিছুই জানি না এবং গত চার বছরে ওই অভিযোগ সম্পর্কে কোনো সমন, চিঠি আমাকে দেওয়া হয়নি। কোনো মামলাও হয়নি। এসব কথা ছড়ানো হচ্ছে আমি আওয়ামী লীগ থেকে কুমিল্লা সিটির মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার পর। আমি ওই ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডে কখনোই জড়িত ছিলাম না। ’