মানুষ সামাজিকীকরণ (পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। সামাজিকীকরণের এই জায়গাগুলো দিনে দিনে দুর্বল হচ্ছে। পারিবারিক সম্পর্কের সুতাগুলো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। যৌথ পরিবার ভেঙে একক পরিবারে রূপ নেওয়ায় বাড়ছে ব্যক্তির স্বাতন্ত্র্যবোধ।
বিজ্ঞাপন
সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, ধর্মীয় যেসব মূল্যবোধ রয়েছে, সেগুলো মেনে চললে ব্যক্তি কিংবা পরিবার—এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সহায়ক হবে। দেশে ভালো ভালো আইন রয়েছে। কিন্তু যথাযথ প্রয়োগ নেই। তবে আইনের চেয়ে বেশি দরকার সামাজিক নিয়ন্ত্রণ। অপরাধ বেড়ে যাওয়া, মূল্যবোধের অবক্ষয়—এসবের জন্য বেশি দায়ী ঐতিহ্যগত শিষ্টাচারগুলোকে অবজ্ঞা করা।
একবিংশ শতাব্দীতে অপরাধ মোকাবেলায় প্রথমে নজর দিতে হবে শহরকেন্দ্রিক অপরাধের মূলে। এ জায়গায় যথেষ্ট নজর দেওয়া হচ্ছে না বলে মানুষ সুযোগ পেলেই নানা ধরনের অনৈতিক কিংবা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, সন্তান হত্যা, স্ত্রী হত্যা, স্বামী হত্যা, ভাই হত্যা—এমন পারিবারিক নিষ্ঠুরতা অনেক সময় আমাদের নাড়িয়ে দেয়। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় যে উদ্যোগ দরকার, তা দেখা যাচ্ছে না। এর জন্য সামাজিক উদ্যোগটা জরুরি।
মোটকথা, পারিবারিক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে দরকার সুস্থ পারিবারিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক মেলবন্ধন।
লেখক : মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক