<p>বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ১১ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ব্যাপারটি নিশ্চিত হয়েছিলেন। ঠিক ১৪ দিন পর গতকাল শনিবার দ্বিতীয়বার নমুনা দিয়েছেন তিনি। এই নমুনার প্রতিবেদন নেগেটিভ হলে তাঁর নিয়মিত চিকিৎসার পাশাপাশি আরো কয়েক দিন চিকিৎসকদের ফলোআপে থাকবেন তিনি। আর যদি নমুনা পজিটিভ আসে, সে ক্ষেত্রে আরো একবার তাঁর ফুসফুসের সিটি স্ক্যান করা হবে। এদিকে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়াসহ বাসভবনে থাকা অন্য স্টাফদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।</p> <p>সূত্রগুলো বলছে, গত শুক্রবার রাতে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ডা. মামুন রাত সাড়ে ১০টার পর গুলশানের বাসায় যান। সেখানে অন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে কনফারেন্সে খালেদা জিয়ার নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়। পরে গতকাল দুপুরে ল্যাবএইড হাসপাতালের টেকনিশিয়ান সবুজ যান নমুনা সংগ্রহ করতে। ওই সময় খালেদা জিয়াসহ ফিরোজায় অবস্থান করা করোনায় আক্রান্ত অন্য স্টাফদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়।</p> <p>এদিকে ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে। করোনাভাইরাসের চিকিৎসার পাশাপাশি চলছে অন্যান্য রোগের চিকিৎসাও। গত ১৪ দিনে করোনা উপসর্গের মধ্যে কয়েক দিন জ্বর ও দুর্বলতা ছাড়া বড় ধরনের কোনো লক্ষণ তাঁর দেখা যায়নি। তাই বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। রমজান মাস হওয়ায় ইবাদত-বন্দেগিতেই বেশি সময় কাটছে তাঁর। পাশাপাশি লন্ডনে থাকা বড় ছেলে তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান, নাতনি, প্রয়াত সন্তান আরাফাত রহমান কোকোর পরিবারসহ দেশে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে নিয়মিত ভিডিও কলে কথা বলছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।</p> <p>দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, রমজানের শুরু থেকেই ছোট ভাইয়ের বাসা থেকে ইফতার পাঠানো হচ্ছে ফিরোজায়। খালেদা জিয়ার দিন শুরু হয় সকালে ইবাদতের মাধ্যমে। পরে পত্রিকা পড়েন। বিরতি নিয়ে টেলিভিশনও দেখেন। এর মধ্যেই চিকিৎসকদের দেওয়া ফিজিওথেরাপিসহ আনুষঙ্গিক কাজ সারেন। সময় করে ফিরোজায় কর্মরত করোনা আক্রান্ত স্টাফদের নিয়মিত খোঁজ-খবর নেন।</p>