<p>দেশে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১০১ জন। এর আগের দিনও সমসংখ্যক মানুষ মারা গেছেন।</p> <p>মৃত্যু বাড়লেও ধারাবাহিকভাবে কমছে শনাক্ত। গতকাল তা নেমে গেছে তিন হাজার ৪৭৩ জনে। বিষয়টিকে বিশেষজ্ঞরা দেখছেন ইতিবাচকভাবে। তাঁদের মতে, সংক্রমণ এভাবে কমতে থাকলে মৃত্যুও দ্রুত সময়ের মধ্যেই কমে আসবে।</p> <p>অন্যদিকে সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে পাঁচ হাজার ৯০৭ জন।</p> <p>সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত দেশে মোট শনাক্ত হয়েছে সাত লাখ ১৫ হাজার ২৫২ জন। এর মধ্যে মোট মারা গেছে ১০ হাজার ২৮৩ জন ও সুস্থ হয়েছে ছয় লাখ আট হাজার ৮১৫ জন।</p> <p>স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ২১.৪৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩.৮৯ শতাংশ, সুস্থতার হার ৮৫.১২ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১.৪৪ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী রোগতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৪তম সপ্তাহের (৪-১০ এপিল) তুলনায় ১৫তম সপ্তাহে (১১-১৭ এপ্রিল) মৃত্যু বেড়েছে ৩৮.৮৪ শতাংশ, সুস্থতা বেড়েছে ৬১.২০ শতাংশ, পরীক্ষা কমেছে ১৯.৭৭ শতাংশ ও শনাক্ত কমেছে ২৫.৩৭ শতাংশ।</p> <p>সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১০১ জনের মধ্যে ৬৯ জন পুরুষ ও ৩২ জন নারী। বয়স বিবেচনায় ২১-৩০ বছরের তিনজন, ৩১-৪০ বছরের তিনজন, ৪১-৫০ বছরের আটজন, ৫১-৬০ বছরের ২৯ জন ও ষাটোর্ধ্ব ৫৮ জন। এর মধ্যে ৬৭ জন ঢাকা বিভাগের, ২৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুজন করে রাজশাহী ও সিলেটের, তিনজন করে খুলনা ও ময়মনসিংহের এবং একজন বরিশাল বিভাগের। তাঁদের মধ্যে ৯৯ জন হাসপাতালে ও দুজন বাসায় মারা গেছেন।</p> <p>গত বছর ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের খবর দেয় সরকার। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। গত বছরের শেষের দিকে করোনা সংক্রমণ কমে আসে। এর ধারাবাহিকতা ছিল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু মার্চ থেকে আবার সংক্রমণ বাড়তে থাকে, যার ঢেউ এখনো রয়েছে। এর মধ্যে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান চলছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ টিকাও দেওয়া শুরু হয়ে গেছে। সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে দেশজুড়ে আরোপ করা হয়েছে কঠোর বিধি-নিষেধ।</p>