পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী থেকে প্রায় ৫৩ বছরের রাজনৈতিক জীবন পার করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। ছাত্রলীগ ও যুবলীগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকার পর গত প্রায় চার দশক ধরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত রয়েছেন তিনি। একেবারে তৃণমূলের একজন কর্মী থেকে উঠে আসা ৬৭ বছর বয়সী আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা এবারই প্রথমবারের মতো নির্বাচন করছেন। দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সামনের সারিতে থাকা রেজাউল গত কয়েকটি সংসদ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হন। সেই সঙ্গে গত তিনটি চসিক নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের সমর্থন চেয়ে পাননি। ১৯৮২ সাল থেকে নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এই নেতা সর্বশেষ ২০১৩ সালের নভেম্বরে গঠিত (বর্তমান) নগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ পান।
দলীয় নেতারা জানান, বারবার দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও রেজাউল রাজনীতির মাঠে সক্রিয় থেকেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়েও তিনি মানুষের পাশে ছিলেন। অবশেষে এবারের চসিক নির্বাচনে তাঁকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূল থেকে শুরু করে সবাই খুশি।
নৌকার মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনে ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করলে তাদের একজন সেবক হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রাখব। নগরীর বিপুল জনগোষ্ঠীকে ন্যূনতম সেবা দিতে পারাটাই হবে আমার আসল যোগ্যতা। সবার সহযোগিতা পেলে যোগ্যতার পরীক্ষায় জিতব বলে বিশ্বাস করি। সুযোগ পেলে নিজের মেধা-মনন, কাজ সবকিছু নগরবাসীর জন্য উত্সর্গ করাই আমার আসল অঙ্গীকার।’
এদিকে নির্বাচনী হলফ নামায় রেজাউল উল্লেখ করেছেন, স্বজনদের কাছ থেকে ধার নিয়ে তিনি নির্বাচনী ব্যয় করবেন।
ব্যক্তিগত জীবন : স্ত্রী সেলিনা আকতার, মেয়ে তানজিনা শারমিন নিপুন (শিক্ষক-চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) ও সাবিহা তাসনিম তানিম (ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন), ছেলে-ইমরান রেজা চৌধুরী (ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে অধ্যয়নরত)।
মন্তব্য