<p>৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে গত ১০ এপ্রিল প্রথম বাবা হন তিনি। তবে আনন্দের এই সময়ে সদ্যোজাত মেয়ে ও মায়ের পাশে থাকতে পারেননি। ভারতের চেন্নাইয়ে টেস্ট টিউবের মাধ্যমে হওয়া মেয়েকে শিগগিরই নিয়ে আসবেন, পরিকল্পনা ছিল। বাদ সাধে করোনা পরিস্থিতি। ওদিকে মা-মেয়েও দেশে ফিরতে পারছিলেন না। এর মধ্যে নিজের করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় ঢাকা থেকে কুমিল্লা শহরের মৌলভীপাড়ার বাড়িতে আসেন তিনি। এর মধ্যে গত রবিবার জানতে পারেন, চাকরিতে তাঁর পদোন্নতি হয়েছে। এই সুখবর জানিয়ে ওই দিন দুপুরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এ জন্য শুরু হওয়া অভিনন্দনের জোয়ারের মধ্যেই জীবনে আসে ভাটার টান। একই দিন রাত ৮টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পান সবাই।</p> <p>হতভাগ্য এই ব্যক্তির নাম মাহাবুব এলাহী (৪০)। মৃত্যুর আগে আরাধ্য সন্তানকে একবার চোখের দেখাও দেখতে পারলেন না এই ব্যাংক কর্মকর্তা। তাঁকে শেষ বিদায় জানাতে পারলেন না স্ত্রী-সন্তানও।</p> <p>মাহাবুব এলাহী কুমিল্লার পুরনো মৌলভীপাড়ায় বাসিন্দা রহিম আমজাদ কায়সারের চার ছেলের মধ্যে বড় ছিলেন। ঢাকার মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের লোকাল ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী সাজনীন মাহাবুবকে নিয়ে থাকতেন রামপুরার ভাড়া বাসায়। ২০১১ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। পদোন্নতি পেয়েছিলেন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে।</p> <p>মাহাবুব এলাহীর ভাই গোলাম রাব্বানী জানান, ঢাকায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর মাহাবুব বাড়িতে চলে আসেন। গত শনিবার তিনি ভাইকে সঙ্গে নিয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করান। সেই পরীক্ষার ফল আসার আগেই মারা যান মাহাবুব। তবে পরীক্ষায় তাঁর করোনা পজিটিভ আসে।</p> <p> </p>