<p>করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ কেমিক্যালের চালান গতকাল চীনের গোয়াংজু থেকে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে পৌঁছেছে। আর গতকালই ওই কিটের স্যাম্পল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।</p> <p>গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তাঁরা এক লাখ কিট তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। তবে প্রথম দফায় ১০ হাজার কিট তৈরি করা হবে। এসব কিট আগামী ১১ এপ্রিল স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করবেন। এদিন সকাল ১১টায় মিরপুর রোডের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আইইডিসিআর, বিএসএমএমইউ, আইসিডিডিআরবি এবং ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ওই কিট দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।</p> <p>জানা গেছে, গতকাল সকাল ৮টায় ওই কেমিক্যালের চালান ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সেগুলো ছাড় করে। সকাল ১০টার মধ্যেই তা সাভারে গণস্বাস্থ্যের কারাখানায় পৌঁছে যায়। এর পরপরই কিট তৈরির কাজ শুরু হয়।</p> <p>করোনা পরীক্ষার কিট তৈরিতে ৯ ধরনের বিশেষ কেমিক্যাল বা কাঁচামালের প্রয়োজন হয়; যা চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডে পাওয়া যায়। যে চালানটি গতকাল এসে পৌঁছেছে সেটি তৃতীয় দফার আমদানীকৃত। ফ্লাইট না পাওয়ায় এর আগের দুটি চালান জার্মানি ও সিঙ্গাপুরে আটকে আছে।</p> <p>কিট সঠিক হয়েছে কি না এটি যাচাই করার জন্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর কয়েক সিসি রক্তেরও প্রয়োজন হয় বলে জানান ডা. জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যসচিবের কাছে আবেদন করে পাঁচটি পজেটিভ রক্তের স্যাম্পল আমরা চেয়েছি।’</p> <p>সরকারের আর্থিক সহায়তা বা ব্যাকের ঋণ পাওয়া গেলে গণস্বাস্থ্য মাসে ২০ লাখ কিট তৈরি করতে পারবে বলে জানা যায়। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ওই মাত্রায় উৎপাদনে যেতে হলে আমাদের কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা দরকার। সরকার ইচ্ছা করলে সহায়তাও দিতে পারে। আবার আমরা ব্যাংক থেকে নিতেও রাজি আছি।’</p> <p> </p>