<p>এক তরুণের ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হয় গত শুক্রবার। এরপর সেই আইডির মেসেঞ্জারে ‘ধর্ম অবমাননাকর’ কথাবার্তা চালানো হয়। সেই কথোপকথনের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে দেওয়া হলে সেটি ভাইরাল হয়। এরপর ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে ডাক দেওয়া হয় বিক্ষোভ সমাবেশের। ওই তরুণ শুক্রবারেই থানায় গিয়ে তাঁর ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার বিষয়টি জানান। পুলিশ এ নিয়ে ঝামেলা হওয়ার বিষয়টি আঁচ করে তরুণকে নিজেদের হেফাজতে রেখে তাঁকে সঙ্গে নিয়েই অভিযান চালিয়ে হ্যাকারদের ধরে ফেলে। পাশাপাশি আলেম-উলামাদের নিয়ে প্রশাসন রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে। আইডি হ্যাক করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ধর্ম অবমাননার প্রচারণার বিষয়টি অবগত হয়ে উলামারা গতকাল রবিবারের কর্মসূচি প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রশাসনকে আশ্বস্ত করেন।</p> <p>কিন্তু এর পরও একদল তরুণের লিফলেট ও মাইকে প্রচারণা চালানোর কারণে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ঈদগাহ মাঠে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এতে চারজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক। অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আহতদের অনেককে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) ও ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিহতরা হলো বোরহানউদ্দিন উপজেলার মহিউদ্দিন পাটওয়ারীর মাদরাসাপড়ুয়া ছেলে মাহবুব (১৪), উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দেলওয়ার হোসেনের কলেজপড়ুয়া ছেলে শাহিন (২৩), বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহফুজ (৪৫) ও মনপুরা হাজিরহাট এলাকার বাসিন্দা মিজান (৪০)।</p> <p>বোরহানউদ্দিনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব, চার প্লাটুন বিজিবি ও দুই প্লাটুন কোস্ট গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজিকে প্রধান করে গত রাতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। নিহত দুজনের মৃত্যু গুলিতে নয় দাবি করে পুলিশের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘পুলিশ-জনতা সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত চারজনের মধ্যে অন্তত দুজনের মাথা ভোতা অস্ত্র দ্বারা থেঁতলানো ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।’</p> <p>জানা গেছে, আলেম-উলেমারা সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত জানালেও একদল তরুণ ওই ‘ধর্ম অবমাননাকারীর’ ফাঁসির দাবি জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করে। ফেসবুকে চলে প্রচারণা। মাদরাসায় মাদরাসায় গিয়ে ইসলাম রক্ষার কথা বলে রবিবারের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য দাওয়াত দেয়। শনিবার মাগরিব ও এশার নামাজের আজানের পর মাইকযোগে সব মুসল্লিকে সকাল ১১টায় সমাবেশে মিছিলসহকারে অংশ নিতে আহ্বান জানায়।</p> <p>সংঘর্ষের কারণ যা জানা গেছে</p> <p>একটি সূত্র জানায়, সমাবেশটি না করার জন্য বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা জালাল উদ্দিন ও বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা মিজানকে পুলিশ অনুরোধ জানায়। পুলিশের অনুরোধে এ দুই ইমাম সকাল ১০টার দিকেই যেসব লোক এসেছিল, তাদের নিয়ে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশ সমাপ্ত করেন। কিন্তু ততক্ষণে বোরহানউদ্দিনের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েক হাজার লোক এসে ঈদগাহে জড়ো হয়। একপর্যায়ে তারা ওই দুই ইমামের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং সেখানে থাকা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পুলিশ মসজিদের ইমামের কক্ষে আশ্রয় নেয়। জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে পুলিশ গুলি ছোড়ে।</p> <p>অন্য একটি সূত্র বলছে, সকাল ৯টা থেকে লোকজন মাঠে জড়ো হতে থাকে। মিছিল করতে না পেরে সেখানেই অবস্থান নেয় তারা। পরে পুলিশ ‘বাটামারা পীর সাহেব’ মাওলানা মহিবুল্লাহকে সেখান থেকে ঈদগাহ জামে মসজিদের দোতলায় নিয়ে যায়। ওই সময় গুঞ্জন ওঠে, মাওলানা মহিবুল্লাহকে পুলিশ আটক করেছে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।</p> <p>তবে বোরহানউদ্দিন থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ জাফর ইকবাল জানান, ঈদগাহ মাঠের কাছেই একটি মাদরাসার কক্ষে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করছিলেন। একজন পুলিশ সদস্য শৌচাগারে যাওয়ার জন্য নিচে নামলে তাঁর দিকে ইট ছুড়ে মারে বিক্ষোভকারীরা। একই সঙ্গে তারা ‘ধর ধর’ বলে ছুটে আসে। এর পরই সংঘর্ষ বেধে যায়। আরেকটি সূত্র জানায়, ছোট ছোট মিছিল যখন মাঠ দিয়ে যাচ্ছিল, তাদের ভেতরে একদল তরুণ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়েছিল। তাতেই বাধে সংঘর্ষ।</p> <p>ভোলা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মো. কায়সার বলেন, ‘শনিবার স্থানীয় আলেম-উলামদের নিয়ে থানায় বৈঠক হয়েছে। সেখানে তাদের পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছিল—বিপ্লবের আইডি হ্যাক হয়েছে। যারা হ্যাক করেছে, তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের কথা শুনে আলেম-উলামারা তাঁদের পূর্বনির্ধারিত রবিবারের কর্মসূচি প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন। কিন্তু রবিবার সকালে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি সফল করতে তরুণরা মাঠে মঞ্চ তৈরি করছে। একপর্যায়ে আমরা আলেম-উলামাদের নিয়ে সভার কথা তাদের বললে তারা মঞ্চ তৈরির কাজ বন্ধ রেখে যে যার মতো করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।’</p> <p>পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘আমরাও থানার দিকে হেঁটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে পেছন দিক থেকে একদল তরুণ আমাদের লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে। আমরা আত্মরক্ষার্থে ঈদগাহসংলগ্ন মাদরাসার দোতলার একটি কক্ষে আশ্রয় নিই। তখন হামলাকারীরা একপর্যায়ে দরজা-জানালা ভেঙে আমাদের কক্ষে প্রবেশের চেষ্টা করে। তখন আমরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ি। পাশের রুমে থাকা পুলিশের একটি দলের ওপর হামলাকারীরা গুলি বর্ষণ করে। এতে এক পুলিশ সদস্যের ডান বুকে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’</p> <p>যেভাবে চলে প্রচারণা</p> <p>ফেসবুকের প্রফাইল ঘেঁটে জানা গেছে, ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র সোহেল রানা। শুক্রবার রাত ১০টা ৫৮ মিনিটে তাঁর ফেসবুক আইডির টাইমলাইনে দুটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। বিপ্লব চন্দ্র শুভর সঙ্গে অন্য এক ব্যক্তির মেসেঞ্জারের ‘ধর্ম অবমাননাকর’ কথোপকথনের দুটি স্ক্রিনশট। একই সঙ্গে সোহেল তাঁর টাইমলাইনে স্ট্যাটাসে বলেন, ‘এটা বেশি বেশি করে শেয়ার করে ছড়িয়ে দেন। এই জানোয়ারের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ সোহেল তাঁর এই স্ট্যাটাস ৪২ জনের টাইমলাইনে ট্যাগ করেন। রাত ১১টা ৫২ মিনিটে বিপ্লবের ছবি ও পাশে ম্যাসেঞ্জারের কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশট দিয়ে সোহেল টাইলাইনে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানেও উসকানিমূলক অনেক কথা বলেন।</p> <p>সোহেলের সূত্রে আরো অনেকেই এভাবে স্ক্রিনশট দিয়ে ফেসবুকে ‘ধর্ম অবমাননাকর’ পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ তোলে। শুরু হয় ‘ফেসবুকে প্রতিবাদ’। ‘ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে’ দাবি করে জিডি করতে শুক্রবার রাতে বিপ্লব বোরহানউদ্দিন থানায় যান। বিপ্লবের ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার বিষয়টি রাতেই পুলিশ নিশ্চিত হয়। পরের দিন শনিবার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে।</p> <p>কিন্তু শনিবার সকালে বোরহানউদ্দিনের কুঞ্জেরহাট বাজারে ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে মানববন্ধন এবং বোরহানউদ্দিন থানার সামনে বিক্ষোভ করে। সোহেল তাঁর আইডিতে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিটের সময় বিক্ষোভের দৃশ্য লাইভ করেন। উলামাদের রবিবারের কর্মসূচি প্রত্যাহারের বিষয়টি কেউ তাদের ফেসবুকে শেয়ার করেনি। উল্টো কর্মসূচি সফল করতে ‘তৌহিদী জনতার’ ব্যানারে হ্যান্ডবিল পুরো বোরহানউদ্দিনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তরুণরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে এলাকাভিত্তিক লিফলেট বিলি করেন।</p> <p>পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছে—এ রকম অন্তত ৩২ জন রবিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ২৫ জনই মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক এবং মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন। কাসেমগঞ্জ মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্র হাফিজ, ইদারাবাদ মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মুন্না, বড় দালিয়া মাদরাসার দীন ইসলাম ও আল আমীনের সঙ্গে হাসপাতালে কালের কণ্ঠ’র কথা হয়েছে। তারা বলে, ‘হুজুরে সকাল সকাল মোগো মিছিলে নিয়া আইছে। তয় কী কারণে মিছিলে আনছে মোরা জানি না। যহন মোরা মিছিল নিয়া স্কুল মাঠে যাইতেছিলাম, তখন পুলিশ মোগো বাধা দেয়। মোগো মিছিল থেকেই পুলিশের ওপর কেউ ইট মারে। এরপর পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করলে সংঘর্ষ বাধে।’ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বোরহানউদ্দিনের এক ব্যবসায়ীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁর নাম আবু তাহের। তিনি জানান, শনিবার রাতে মসজিদগুলো থেকে মাইকযোগে কর্মসূচি সফল করার জন্য আহ্বান করা হয়েছিল। তাতে তিনিও সকালে মিছিলে এসেছিলেন।</p> <p>বোরহানউদ্দিনের উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম সাংবাদিকদের বলেন, সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ১১টায়। সকাল ১০টার পর থেকেই বড় বড় মিছিল নিয়ে অনেকে সেখানে আসছিল। কিন্তু আয়োজকরা সাড়ে ১০টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করে দিলে অংশ নিতে আসা জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি সকাল পৌনে ১১টায় সেখানে পৌঁছে দেখতে পান, সমাবেশে উপস্থিত এলাকাবাসী পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়ছে।</p> <p>বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, শুক্রবার বিকেলে ওই তরুণের ফেসবুক আইডি থেকে কুরুচিপূর্ণ একটি মেসেজ তাঁর কয়েকজন ফেসবুক বন্ধুর কাছে যায়। একপর্যায়ে কয়েকটি আইডি থেকে ‘মেসেজটির স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়ানো’ হয়। এরপর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ‘ফেসবুকে প্রতিবাদ শুরু হয়’। তাঁর ‘ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে’ দাবি করে জিডি করতে শুক্রবার রাতে ওই তরুণ নিজের ইচ্ছায় থানায় আসেন।</p> <p>তথ্য বলছে, ফেসবুকে ধর্ম অবমাননা করার গুজব ছড়িয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নজির রয়েছে। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলায় হামলা চালিয়ে লুটপাটসহ ১২টি বৌদ্ধ মন্দির ও ৩০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে একদল লোক। ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে রসরাজ নামের এক মৎস্যজীবীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে লোকজনকে খেপিয়ে তুলে ঘরবাড়ি ও মন্দিরে হামলা চালানো হয়।</p> <p>সম্প্রীতি বিনষ্ট না করার আহ্বান</p> <p>এই ঘটনার জেরে গুজব ছড়িয়ে যাতে কেউ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা না করে সে ব্যাপারে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিস্থিতির ভয়াবহতায় ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। সংঘর্ষের আগেই ফেসবুকে ধর্মীয় মন্তব্যের অভিযোগে বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য, শরীফ এবং ইমন নামে তিনজনকে আটক করা হয়। পুলিশ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে শুরু থেকে তৎপর থাকা সত্ত্বেও এবং আলেম সমাজ পুলিশ কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখে কর্মসূচি স্থগিত করলেও কোনো একটি স্বার্থান্বেষী মহল ধর্মকে পুঁজি করে একটি সামাজিক অস্থিরতা তৈরির অপপ্রয়াস চালিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট না করতে এবং কোনো অবস্থাতেই ধর্মীয় উপাসনালয়ে আক্রমণ না করতে সাধারণ জনগণকে অনুরোধ জানাচ্ছে পুলিশ।</p>