ঢাকা, রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫
৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫
৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ মহররম ১৪৪৭
ডিএইচএল-দ্য ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০১৫

ব্যবসায় সাফল্যের স্বীকৃতি পেলেন তাঁরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ব্যবসায় সাফল্যের স্বীকৃতি পেলেন তাঁরা
পুরস্কৃতদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, ডিএইচএলের সাউথইস্ট এশিয়া ও সাউথ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ইয়াসমিন আলআদাদ খান ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম। ছবি : কালের কণ্ঠ

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে অসাধারণ সাফল্যের জন্য 'ডিএইচএল-দ্য ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড' পেল দুই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দুজন ব্যবসায়ী। ২০১৪ সালের সেরা সাফল্যের জন্য চারটি শ্রেণিতে এ স্বীকৃতি দেওয়া হলো। আন্তর্জাতিক লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার যৌথভাবে গত ১৫ বছর ধরে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।

গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেশের খ্যাতিমান চার ব্যবসায়ীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএইচএলের সাউথইস্ট এশিয়া ও সাউথ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ইয়াসমিন আলআদাদ খান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকসহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

২০১৪ সালের সেরা সাফল্যের স্বীকৃতির জন্য যাঁরা এবার সম্মাননা পেলেন তাঁরা হলেন-সেরা ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব হিসেবে সামিট ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড মার্কেন্টাইল করপোরেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান। ব্যবসায় অসাধারণ নারী ব্যক্তিত্বে মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। এ ছাড়া বছরের সেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড।

ব্যাংকের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান। আর 'সেরা ব্যবসায় উদ্যোক্তা' হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ। পুরস্কার গ্রহণ করেন গ্রুপের পরিচালক মাহবুবুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিতে ৮০ শতাংশ অবদান রাখছে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা।

বেসরকারি ব্যবসা-বাণিজ্যে গত চার দশকে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে দেশের। আজ স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে সেসব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং উদ্যোক্তাদের, যাঁরা এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, 'ভালো কাজ করলে একদিন পুরস্কার পাবেনই।'

শুভেচ্ছা বক্তব্যে মাহফুজ আনাম বলেন, বাংলাদেশকে প্রস্তুত হতে হবে বিশ্বের স্মার্ট ব্যবসার হাব (সংযোগস্থল) হিসেবে কাজ করার জন্য। এ জন্য উদাহরণ হতে পারে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারত।

তিনি বলেন, চীন সরকার বেসরকারি খাত উন্নয়নে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা এবং সহায়তা করে আজ ওই দেশের সরকার ব্যবসাবান্ধব হয়ে উঠেছে। আর বিশ্বের সেরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম ভারতের বেঙ্গালুরু। তিনি আরো বলেন, 'আমরা আমাদের সুযোগগুলো নষ্ট করছি। এ সুযোগ আর নষ্ট করতে চাই না।' ইয়াসমিন আলআদাদ খান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাঁর প্রতিষ্ঠান অংশীদার হতে পেরে তিনি আনন্দিত। এ ধরনের উদ্যোগে আগামীতেও তাঁরা অংশীদার হতে চান।

পুরস্কার পাওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আজিজ খান বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে বিদ্যুৎ-জ্বালানি এবং অবকাঠামো খুব জরুরি। তাঁর প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

আনিস এ খান বলেন, 'অন্যান্য ব্যাংকের চেয়ে একটু উদাহরণয্যেগ্য হওয়ার প্রচেষ্টা রয়েছে আমাদের। এ প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশাই হলো দেশের সেরা ব্যাংকটি হবে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক।'

রুবানা হক বলেন, 'আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো নারীদের উন্নয়নে কাজ করা। তাই মুনাফার চেয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আর সে জন্যই সাধ্য অনুসারে চেষ্টা করে যাচ্ছি।'

মাহবুবুল আলম বলেন, 'বিশ্বে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক পণ্য সুপরিচিতি পাবে-এমন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। শিগগিরই দেশে ফ্রিজের কমপ্রেসার ও স্মার্টফোন তৈরি কারখানা করব আমরা। এই পুরস্কার আমাদের ভবিষ্যৎ যাত্রাকে আরো সহজ করবে।'

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ