ধুলোকে মুরশিদ করি যদি
যদি ভেঙে দিতে পারি পেটানো ছাদের পিছুটান
বারান্দার সাজানো বাগান
আর কুলদেবতার বিগ্রহ ফেলে রেখে
বেঠিকানা রাস্তার নেশা করে ঘর ছাড়ি যদি
খিদে তৃষ্ণা আর পায়ের ফোসকা ভালোবেসে
কোনো দিন যদি চলে যেতে পারি অতঃপর...
চারপাশে অবিনশ্বর মানুষের স্বর
তাদের সবার গায়ে রঙিন রঙিন কত গল্পের চাদর
নিরন্ন তাঁতের
আর নির্ঘুম রাতের
তাদের সবার সাথে পায়ে পায়ে পথের শরীরে
জ্বেলে দেব নিরুত্তাপ আগুন
আমরা সবাই মিলে সেঁকে নেব ফকিরির অনির্বাণ তাপ
উষ্ণ বসুধারায় ভরে যাবে ধুলো-মানুষের কন্দরের অভিশাপ
আমার তোমার আমাদের
এক চাদরের প্রতিবেশী আমরা সবাই
আমাদের তাঁতিপাড়া-গ্রামে
চরকায় বেঁধেছে ধাগা সে মানুষ লালন সাঁই...
যদি কোনো দিন জানতে পারি, কোনো দিন সত্যিই বুঝে যাই—
যে ঘরে বসত পেতেছি, এ আমার ঘর নয়
সেখানে অনেক লোকের ভিড় মনে হয় যদি
ধুলোর মুরিদ হব সেই দিন পান্থ আমি
হাওয়ার মজুর হব। দ্বেষ নাই, শ্লেষ নাই
শুধু আলো আর আলোর ঝর্ণার মতো রোশনাই
ফকিরের পদচিহ্নে ভরে থাকবে অন্তর্লীন হরিমন্দির, ঈদগাহ
আমায় ডাকছে রাস্তা, সে পথে প্রতিটি ধুলোর নাম লালন শাহ...
বিজ্ঞাপন