ঈদ আসছে। ঈদ আসছে করোনা মহামারির বুক ভার করা সময় পার করে। ঈদ তার আপন রঙে আমাদের প্রাত্যহিক দুঃখের দাগগুলো কিছুদিনের জন্য হলেও আড়াল করে রাখে। ঈদ তাই আনন্দের উৎস।
বিজ্ঞাপন
আবার ঈদই আমাদের সামনে হাজির করে মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যস্ফীতি। মনে করিয়ে দেয় আয় আর ধন বৈষম্যের কথা। বুঝিয়ে দেয় কিভাবে সব জমে জমে তৈরি হয় সামাজিক, রাজনৈতিক বৈষম্য। সেখানে পবিত্র রমজান আমাদের সংযমের বার্তা দেয়। বৈষম্যের উপশম আছে জাকাতে। এই ধাপগুলো পেরিয়ে এসেই ঈদ হয় সর্বজনীন। সবাইকে একসুতায় যুক্ত করার বাসনা জাগিয়ে ঈদ হয়ে ওঠে সামাজিক উৎসব।
ঈদে সংবাদপত্রও চায় ভিন্ন কিছু দিয়ে তার পাঠকদের একসুতায় গেঁথে রাখতে। পত্রিকা বন্ধের দিনগুলোতে পাঠকের সঙ্গে থাকতে এবং পাঠককে সঙ্গে রাখতেই বোধ হয় ঈদ সংখ্যার আয়োজন। রসনাবিলাসের পাশাপাশি পাঠকের মনের খোরাকও গুরুত্বপূর্ণ। সেই বিবেচনা থেকে এই ঈদ সংখ্যার পরিকল্পনায় বৈচিত্র্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। লেখকরা তাঁদের সেরা লেখাটা তো ঈদ সংখ্যার জন্যই জমিয়ে রাখেন। এই ঈদ সংখ্যাও তাই ভালো লেখকদের সেরা লেখার সমাহার।
ঈদের তাৎপর্য এর সর্বজনীনতায়। ‘ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা’র কথা ভুলে গিয়ে মিলব সবাই উৎসবে। আনন্দ ভাগাভাগি করে এগিয়ে যাব সাম্যের আকাঙ্ক্ষায়।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।
শাহেদ মুহাম্মদ আলী
সম্পাদক