বুধবার । ১১ ডিসেম্বর ২০১৯। ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬। ১৩ রবিউস সানি
আদি যুগে আদি বাস উত্তর আফ্রিকা।
পেরিয়ে সমুদ্র নদী সমতট গিরি অনামিকা
মিশর মরক্কো মরু মাদাগাসকার মৌরিতানিয়া
হরণ করেছো কতো বণিক ও প্রেমিকের হিয়া;
অনন্তর লাতিন য়ুরোপ হয়ে মহাচীন জাপান সুদান
প্যারাগুয়ে অস্ট্রেলিয়া যুক্তরাষ্ট্র শ্যাম ভিয়েতনাম
ভারত শ্রীলঙ্কা বার্মা পূর্বদক্ষিণের এশিয়ায় এসে
পৌঁছে গেছো পদ্মাযমুনার পলিময় বাংলাদেশে,
তুমি তো ধরিত্রীকন্যা দেশে দেশে বৈষ্ণবীর বেশে;
তোমার রসালো পাতা চিরকাল ধারালো সূঁচালো
দুধারী করাতি কাঁটা, পুরুদেহ, জমকালো
চলনবলন, দৃষ্টিশর আকাশেই ওড়ে—
যদিও দাঁড়িয়ে তুমি আশৈশব মাটির শেকড়ে;
পুরুষ্টু শরীরজুড়ে ললিত লাবণ্য শাঁস ধরে;
পিত্তের যন্ত্রণাহর, চিত্তের দোসর,
যন্ত্রণাকাতর নিত্য প্রাণীদের চির চিত্তহর,
ধরণির ঘরে ঘরে তুমি গড়েছো আপন ঘর।
দ্বীপ থেকে দ্বীপান্তরে
প্রান্তরের পর তেপান্তরে
তুমি তো ধরেছো মেলে সতেজ শরীর,
ছায়া তুমি মায়া তুমি চিরমোহিনীর।
আজন্ম কামিনী তুমি, সম্ভোগের সুশক্তিদায়িনী,
সুহাসিনী প্রসাধনী, সেবাব্রতে শুশ্রূষাকারিণী
সর্বরোগে প্রকৃতির চিত্তশুদ্ধি নিত্য বিকিকিনি,
ভেষজসম্রাজ্ঞী তুমি, আরোগ্যদায়িনী।
সর্বপ্রাণবাদে সুদীক্ষিতা তুমি ছায়া বনৌষধি:
ঘৃতকুমারীর তুমি সর্বগুণ, মায়া মনৌষধি।
মন্তব্য