<p>পঞ্চম অধ্যায়</p> <p>যৌথ মূলধনী ব্যবসায়</p> <p>অনুধাবনমূলক প্রশ্ন</p> <p>[পূর্ব প্রকাশের পর]</p> <p>৮। রাইট শেয়ার কখন প্রদান করা হয়?      </p> <p>অথবা, কোম্পানিতে রাইট শেয়ার কখন প্রদান করতে হয়?</p> <p>অথবা, রাইট শেয়ার ইস্যু করার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করো। </p> <p>উত্তর : কোনো বিদ্যমান কোম্পানি পুনরায় শেয়ার ইস্যুকরণের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের ক্ষেত্রে রাইট শেয়ার ইস্যু করে থাকে। বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের ‘প্রি এমটিভ রাইট’ বা পূর্ব-অধিকারের সুযোগ হিসেবে পুনরায় শেয়ার ইস্যুর সময় তাদেরকেই সবার আগে শেয়ার ক্রয়ের অধিকার দেওয়া হয়। রাইট শেয়ার ইস্যুর ফলে বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের আনুপাতিক মালিকানা বজায় থাকে এবং আনুগত্য বৃদ্ধি পায়।</p> <p>৯। বোনাস শেয়ার কখন দেওয়া হয়? ব্যাখ্যা করো।</p> <p>অথবা, বোনাস শেয়ার প্রদানের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করো।</p> <p>অথবা, একটি কোম্পানি কখন বোনাস শেয়ার ইস্যু করে?         </p> <p>উত্তর : নগদ লভ্যাংশের পরিবর্তে অতিরিক্ত যে শেয়ার ইস্যু করা হয় সেটাই বোনাস শেয়ার। প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত নগদ টাকা বা তারল্য না থাকলে সাধারণত নগদ লভ্যাংশের পরিবর্তে বোনাস শেয়ার ইস্যু করা হয়। আবার সঞ্চিতি তহবিলে পর্যাপ্ত অর্থ থাকলেও বোনাস শেয়ার দেওয়া হয়। বোনাস শেয়ার প্রদানের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো লভ্যাংশের বা সঞ্চিতির মূলধনীকরণ এবং ব্যাবসায়িক প্রসার। বোনাস শেয়ার প্রদানের ফলে শেয়ারহোল্ডারগণের মূলধনী আয় প্রাপ্ত হয় এবং করের সুবিধা পেয়ে থাকেন।</p> <p>১০। ঋণপত্র/বন্ড বলতে কী বোঝায়?</p> <p>উত্তর : কোম্পানি যখন জনগণের কাছ থেকে ঋণগ্রহণ করে তখন প্রমাণস্বরূপ যে দলিল বা প্রত্যয়নপত্র প্রদান করে সেটাই ঋণপত্র বা বন্ড। ঋণপত্রকে নির্দিষ্ট আয় প্রদানকারী সিকিউরিটি বলা হয়। কারণ প্রতিবছর নির্দিষ্ট হারে সুদ প্রদান করা হয় ঋণপত্রের ধারককে। ঋণপত্রের মেয়াদ নির্দিষ্ট বা অনির্দিষ্ট হতে পারে। ঋণপত্রের ব্যয়ের ওপর কর ছাড় পাওয়া যায়, কিন্তু কোম্পানির আর্থিক ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।</p> <p> </p> <p>১১। সাধারণ শেয়ার ও অগ্রাধিকার শেয়ারের মধ্যে পার্থক্য কী?</p> <p>          উত্তর : যৌথ মূলধনী কোম্পানির ইক্যুইটি বা নিজস্ব মূলধনের প্রতীক হলো সাধারণ শেয়ার, অন্যদিকে অগ্রাধিকার শেয়ারের অবস্থান পাওনাদার বা তৃতীয়পক্ষের মতো। সাধারণ শেয়ার মালিকদের কোম্পানিতে ভোটাধিকার আছে, কিন্তু অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকদের ভোটাধিকার নেই। অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকরা সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদানের পূর্বে নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পান। পক্ষান্তরে সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা সবার শেষে অর্জিত মুনাফার ভিত্তিতে লভ্যাংশ পান।</p> <p> </p> <p>১২। কোম্পানির বিলোপসাধন বলতে কী বোঝায়?</p> <p>অথবা, কোম্পানির অবসায়ন বলতে কী বোঝায়?</p> <p>          উত্তর : কোম্পানি আইনের বিধি অনুযায়ী নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি কোম্পানির অস্তিত্ব বিলুপ্ত করাকে কোম্পানির বিলোপসাধন বলা হয়।</p> <p>          ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২৩৪(১) ধারা অনুযায়ী একটি কোম্পানির বিলোপসাধন তিনভাবে হতে পারে। একটি কোম্পানির স্বেচ্ছাকৃত বিলোপসাধন, আদালতের তত্ত্বাবধানে বিলোপসাধন এবং আদালত কর্তৃক বাধ্যতামূলক বিলোপসাধন হতে পারে।</p>