<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যাঙের ছাতা নামে পরিচিত মাশরুম এক ধরনের ছত্রাকজাতীয় উদ্ভিদ। এটি খুবই পুষ্টিকর ও ঔষধি গুণসম্পন্ন। এর খাদ্যোপযোগী অংশ সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। প্রাচীন গ্রিক, রোম ও ভারতীয় সাহিত্যে রাজাদের একটি লোভনীয় খাদ্য হিসেবে মাশরুমের কথা বর্ণিত হয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে প্রতিদিনের স্বাভাবিক খাবার হিসেবে মাশরুম ব্যবহার করা হয়। বিশ শতকের শুরুতে ইউরোপে প্রথম মাশরুমের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হলেও বাংলাদেশে এর চাষ শুরু হয়েছে আশির দশকের শেষ দিকে। আমাদের দেশে চাষের জন্য অনুমোদিত প্রজাতিগুলোর মধ্যে অয়েস্টার জাত সহজলভ্য ও অধিক জনপ্রিয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাশরুম চাষের প্রধান উপকরণ ধানের খড়, তুষ, করাতের গুঁড়া, তুলার বর্জ্য ও অন্যান্য কৃষিজ উপজাতের মিশ্রণ। পাকাঘর বা কুঁড়েঘরে পলিথিনে চাষ করা যায়। পুরো প্রস্তুতিতে লাগে ৩৫ দিন। বীজ বপনের ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই ফসল তোলা যায়। সারা বছর চাষ করা যায়, তবে অয়েস্টার জাত কেবল শীতকালে চাষযোগ্য।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্ভুল প্রজাতি চাষের জন্য রেণুবীজ (</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">spore</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">) অত্যাবশ্যক। তাপমাত্রা গোড়ার দিকে ২০০ থেকে ২৫০ সেন্টিগ্রেড এবং ছাতা ওঠার সময় ১০০ থেকে ১৮০ সেন্টিগ্রেড হলে ভালো হয়। ছাতাটি ছড়ানোর আগে আগেই ফসল তোলা যায়। একটি চাষ থেকে অবিরাম দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ফসল পাওয়া যায়। চাষকৃত ক্ষেত কিছুটা পুনরাবর্তন করা চলে। ব্যাঙের ছাতা তাজা রান্না করা কিংবা শুকিয়ে সংরক্ষিত রাখা যায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাশরুম আমাদের দেহের জন্য খুব উপকারী। মানবদেহের অত্যাবশ্যকীয় ৯টি অ্যামাইনো এসিডের সবই এতে আছে। প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলের পরিমাণ এতে খুব বেশি। প্রাণিজ আমিষ; যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাংস ও ডিমের আমিষ উন্নত ও সম্পূর্ণ হলেও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত চর্বি থাকায় দেহে কোলেস্টেরল সমস্যা দেখা দেয়, যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, মেদভুঁড়ি ইত্যাদি জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পক্ষান্তরে মাশরুমের প্রোটিন নির্দোষ। চর্বি ও কার্বোহাইড্রেটের কম উপস্থিতি এবং কোলেস্টেরল ভাঙার উপাদান লোভাস্টাটিন, অ্যান্টাডেনিন, ইরিটাডেনিন ও নায়াসিন থাকায় শরীরে কোলেস্টেরল জমার ভয় থাকে না। এ ছাড়া মাশরুম হাড় ও দাঁত শক্ত করে এবং চুল পাকা ও চুল পড়া রোধে সাহায্য করে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">[আরো বিস্তারিত জানতে বাংলাপিডিয়া ও পত্রপত্রিকায় মাশরুম সম্পর্কিত লেখাগুলো পড়তে পারো।]</span></span></span></span></p>