দ্বিতীয় অধ্যায়
হিসাবের বইগুলো
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
[পূর্ব প্রকাশের পর]
১৭। দায় কী?
উত্তর : ভবিষ্যতে অর্থ পরিশোধ করতে হবে এমন লেনদেনকে দায় বলে। অন্যভাবে বলা যায়, ব্যবসায়ের সম্পত্তির ওপর বাইরের ব্যক্তিদের দাবিকে দায় বলে। যেমন—প্রদেয় হিসাব/পাওনাদার, প্রদেয় বিল, বকেয়া খরচ, অর্জিত আয় ইত্যাদি।
বিজ্ঞাপন
১৮। মালিকানাস্বত্ব কী?
উত্তর : মালিক কর্তৃক কারবারে এরূপ অর্থ এবং কারবারে অর্জিত আয় ও সঞ্চিতিকে মালিকানাস্বত্ব বলে। মালিকানাস্বত্বকে মূলধন বলে।
১৯। আয় কী?
উত্তর : পণ্য বা সেবার বিনিময়ে প্রাপ্য বা প্রাপ্ত অর্থকে আয় বলে। যেমন—সেবা আয়, সুদ আয়, ভাড়া প্রাপ্তি, কমিশন আয় ইত্যাদি।
২০। ব্যয় কী?
উত্তর : আয় অর্জনে বা কারবার পরিচালনায় যে অর্থ প্রদান বা প্রদেয় হয় তাকে ব্যয় বলে। যেমন—ব্যবসায় পরিচালন ব্যয়, প্রদত্ত সুদ ও অন্যান্য খরচ ইত্যাদি।
২১। উত্তোলন কী?
উত্তর : মালিক কর্তৃক প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো নগদ অর্থ, সম্পদ পণ্য বা সেবা গ্রহণ করাকে উত্তোলন বলে। যেমন—নগদ উত্তোলন, পণ্য উত্তোলন, জীবন বীমা প্রিমিয়াম প্রদান ইত্যাদি।
২২। একতরফা দাখিলা পদ্ধতি কী?
উত্তর : যে হিসাব ব্যবস্থায় লেনদেনের কখনো একটি পক্ষ, কখনো দুটি আবার কখনো কোনো পক্ষই লিপিবদ্ধ হয় না তাকে একতরফা দাখিলা পদ্ধতি বা অসম্পূর্ণ নথি ব্যবস্থা বলে। এটি একটি অসম্পূর্ণ, অবাস্তব, অপরিপক্ব, দুরূহ ও জটিল ব্যবস্থা বলে মনে হয়। তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছে এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা কম।
২৩। হিসাব সমীকরণের কাঠামোগত পরিবর্তন কী?
উত্তর : হিসাব সমীকরণের উপাদানগুলোর মধ্যে একদিকে সম্পদগুলো থাকে এবং অন্যদিকে দায় ও মালিকানাস্বত্ব থাকে। কোনো লেনদেনের ফলে যখন হিসাব সমীকরণের শুধু সম্পদের দিক বা দায় ও মালিকানাস্বত্বের দিকের মধ্যে যেকোনো একদিকের উপাদানগুলোর হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে এবং উভয় পাশের মোট পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে, তখন তাকে হিসাব সমীকরণের কাঠামোগত পরিবর্তন বলে।
২৪। দ্বৈতসত্তা কী?
উত্তর : হিসাবের দুটি দিক, যেমন—ডেবিট ও ক্রেডিটকে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে দ্বৈতসত্তা বলে।
২৫। ডেবিট কী?
উত্তর : হিসাবের সুবিধা গ্রহণকারী পক্ষকে ডেবিট বা গ্রহীতা বলে।
২৬। ক্রেডিট কী?
উত্তর : হিসাবের সুবিধা প্রদানকারী পক্ষকে ক্রেডিট বা দাতা বলে।
২৭। যাচাই কী?
উত্তর : হিসাবগুলোকে দুতরফা দাখিলায় লিপিবদ্ধ করলে এদের জের নিয়ে রেওয়ামিল তৈরি করে হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করা যায়।