<p><strong>জ্ঞানমূলক প্রশ্ন </strong></p> <p>১।   তড়িৎ চুম্ব্বকীয় বর্ণালি কী?</p> <p>     উত্তর : কোনো মৌল থেকে বিদ্যুৎ ক্ষেত্র ও চৌম্ব্বক ক্ষেত্রের মিথস্ক্রিয়ার ফলে রশ্মি বিকিরণের দ্বারা যে বর্ণালি সৃষ্টি হয় তাকে তড়িৎ চুম্বকীয় বর্ণালি বলে।</p> <p>২।   তড়িৎ ঋণাত্মকতা কী?</p> <p>     উত্তর : সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ পরমাণুদ্বয়ের মধ্যে শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যুগলকে একটি পরমাণু তার নিজের দিকে আকর্ষণ করার প্রবণতাকে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে।</p> <p>৩।   আয়নীকরণ বিভব কী?</p> <p>     উত্তর : গ্যাসীয় অবস্থায় এক মোল বিচ্ছিন্ন পরমাণু থেকে এক মোল ইলেকট্রন অসীম দূরত্বে অপসারণ করে এক মোল একক ধনাত্মক আয়নে পরিণত করতে যে শক্তির প্রয়োজন হয় তাকে আয়নীকরণ বিভব বলে।</p> <p>৪।   ইলেকট্রন আসক্তি কী?</p> <p>     উত্তর : গ্যাসীয় অবস্থায় এক মোল বিচ্ছিন্ন পরমাণুর বহিস্তরে এক মোল ইলেকট্রন যুক্ত করে এক মোল একক ঋণাত্মক আয়নে পরিণত করতে যে শক্তি বিমুক্ত হয় তাকে ইলেকট্রন আসক্তি বলে।</p> <p>৫।   জিম্যান প্রভাব কী?</p> <p>     উত্তর : চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে পারমাণবিক বর্ণালির কোনো রেখা কয়েকটি সূক্ষ্ম রেখায় বিভক্ত হওয়ার ঘটনাকে জিম্যান প্রভাব বলে।</p> <p>৬।   কোয়ান্টাম সংখ্যা কী?</p> <p>     উত্তর : যে সংখ্যার মাধ্যমে পরমাণুর শক্তিস্তরের আকার, উপশক্তিস্তরের আকৃতি ও ত্রিমাত্রিক দিকবিন্যাস এবং ইলেকট্রনের নিজ অক্ষের চারদিকে ঘূর্ণনের দিক সম্পর্কে জানা যায় তাকে কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে।</p> <p>৭।   অর্বিটাল কী?</p> <p>     উত্তর : পরমাণুর নিউক্লিয়াসের চারদিকে যে ত্রিমাত্রিক অঞ্চলে ইলেকট্রন পাওয়ার সম্ভাবনা সর্বাধিক তাকে অর্বিটাল বলে।</p> <p>৮।   সংকরণ কী?</p> <p>     উত্তর : কোনো পরমাণুর যোজ্যতাস্তরে একাধিক প্রায় সমশক্তির অর্বিটালকে মিশ্রিত করে সমশক্তিসম্পন্ন এবং সমসংখ্যক নতুন শক্তি ও আকৃতির অর্বিটাল গঠন করার প্রক্রিয়াকে সংকরণ বলে।</p> <p>৯।   হাইড্রোজেন বন্ধন কী?</p> <p>     উত্তর : হাইড্রোজেনযুক্ত সমযোজী ডাইপোলার যৌগসমূহের ধনাত্মক ও ঋণাত্মক প্রান্তের মধ্যে আকর্ষণের ফলে যে দুর্বল বন্ধন সৃষ্টি করে তাকে হাইড্রোজেন বন্ধন বলে।</p> <p>১০। সিগমা বন্ধন কী?</p> <p>     উত্তর : অণু গঠনকালে দুটি পরমাণুর একই অক্ষে অবস্থিত দুটি অর্বিটালের সামনাসামনি বা মুখোমুখি অধিক্রমণের ফলে উৎপন্ন সমযোজী বন্ধনকে সিগমা বন্ধন বলে।</p> <p>১১। পাই বন্ধন কী?</p> <p>     উত্তর : অণু গঠনকালে দুটি পরমাণুর একই অক্ষে অবস্থিত দুটি অর্বিটালের পাশাপাশি অধিক্রমণের ফলে উৎপন্ন সমযোজী বন্ধনকে পাই বন্ধন বলে।</p> <p>১২। p<sup>H</sup> কী?</p> <p>     উত্তর : কোনো জলীয় দ্রবণের হাইড্রোজেন আয়নের (H+ আয়নের) মোলার ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদমকে p<sup>H</sup> বলে।</p> <p>১৩। বাফার দ্রবণ কী?</p> <p>     উত্তর : যে জলীয় দ্রবণে সামান্য পরিমাণ সবল এসিড বা সবল ক্ষার যোগ করার পরও দ্রবণের p<sup>H</sup> অপরিবর্তিত থাকে তাকে বাফার দ্রবণ বলে।</p> <p>১৪। ভর-ক্রিয়া সূত্র কী?</p> <p>     উত্তর : নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ও নির্দিষ্ট সময়ে যেকোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী পদার্থগুলোর সক্রিয় ভরের সমানুপাতিক।</p> <p>১৫। অবস্থান্তর মৌল কী?</p> <p>     উত্তর : যেসব d-ব্লক মৌলসমূহের সুস্থিত আয়নের ইলেকট্রনবিন্যাসে d-অর্বিটাল ইলেকট্রন দ্বারা আংশিকভাবে পূর্ণ থাকে তাদের অবস্থান্তর মৌল বলে।</p> <p>১৬। লা-শাতেলিয়ার নীতি কী?</p> <p>     উত্তর : যেসব শর্তে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া সাম্যাবস্থায় উপনীত হয়, সেগুলোর যেকোনো একটি পরিবর্তন করলে সাম্যের অবস্থা এমনভাবে বদলাবে যেন ওই নিয়ামক পরিবর্তনের ফলাফল প্রশমিত হয়।</p> <p>১৭। পোলারায়ন কী?</p> <p>     উত্তর : আয়নিক যৌগে ক্যাটায়ন কর্তৃক অ্যানায়নের ইলেকট্রন মেঘের বিকৃতি ঘটিয়ে কিছুটা সমযোজী বৈশিষ্ট্য লাভ করার বিষয়টিকে পোলারায়ন বলে।</p> <p>১৮।  পোলারিটি কী?</p> <p>     উত্তর : সমযোজী যৌগে সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ পরমাণুদ্বয়ের তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য ০.৫-১.৯ হলে যৌগটিতে দুটি প্রান্ত বা মেরু সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টিকে পোলারিটি বলে।</p> <p>১৯। ভিনেগার কী?</p> <p>     উত্তর : অ্যাসিটিক এসিড বা ইথানোয়িক এসিডের ৬-১০% জলীয় দ্রবণকে ভিনেগার বলে।</p> <p>২০। K<sub>C</sub> কী?</p> <p>     উত্তর : উভমুখী সাম্যাবস্থা বিক্রিয়ায় মোলার ঘনমাত্রায় প্রকাশিত উৎপাদসমূহের গুণফল ও বিক্রিয়কসমূহের গুণফলের অনুপাতকে K<sub>C</sub> বলে।</p> <p>২১। হুন্ডের নীতি কী?</p> <p>     উত্তর : একই শক্তিসম্পন্ন বিভিন্ন অর্বিটালে ইলেকট্রনগুলো এমনভাবে অবস্থান করবে, যেন তারা সর্বাধিক সংখ্যায় বিজোড় অবস্থায় থাকে।</p> <p>২২। পলির বর্জননীতি কী?</p> <p>     উত্তর : একই পরমাণুতে যেকোনো দুটি ইলেকট্রনের চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান কখনো একই হতে পারে না।</p> <p>২৩। দ্রাব্যতা গুণফল কী?</p> <p>     উত্তর : নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় স্বল্প দ্রাব্যতাবিশিষ্ট কোনো লবণের সম্পৃক্ত দ্রবণের ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নের উপযুক্ত ঘাতসহ ঘনমাত্রার গুণফলকে দ্রাব্যতা গুণফল বলে।</p> <p>২৪। পর্যায়বৃত্ত ধর্ম কী?</p> <p>     উত্তর : ইলেকট্রনবিন্যাসের ওপর ভিত্তি করে মৌলসমূহের ধর্মাবলি পরিবর্তিত হয়ে পুনরাবৃত্তি হওয়ার ঘটনাকে পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বলে।</p> <p>২৫। রাসায়নিক সাম্যাবস্থা কী?</p> <p>     উত্তর : যে অবস্থায় কোনো উভমুখী বিক্রিয়ার সম্মুখ ও পশ্চাৎ বিক্রিয়ার গতিবেগ সমান হয় তাকে রাসায়নিক সাম্যাবস্থা বলে।</p> <p>২৬। এসিডের বিয়োজন ধ্রুবক কী?</p> <p>     উত্তর : এক লিটার জলীয় দ্রবণে উপস্থিত কোনো অম্লের মোল সংখ্যার যে ভগ্নাংশ বিয়োজিত হয় তাকে ওই অম্লের বিয়োজন ধ্রুবক বলে।</p> <p> ২৭। বিয়োজন মাত্রা কী?</p> <p>     উত্তর : এক লিটার জলীয় দ্রবণে উপস্থিত কোনো দুর্বল অম্ল বা দুর্বল ক্ষারের যে ভগ্নাংশ বিয়োজিত হয় তাকে ওই অম্ল বা ক্ষারের বিয়োজন মাত্রা বলে।</p> <p>২৮। আউফবাউ নীতি কী?</p> <p>     উত্তর : পরমাণুতে ইলেকট্রনগুলো বিভিন্ন অর্বিটালে তাদের শক্তির উচ্চক্রম অনুসারে প্রবেশ করে।</p> <p>২৯। অপোলার সমযোজী যৌগ কী?</p> <p>     উত্তর : যেসব সমযোজী যৌগের সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ অণুর দুটি পরমাণুর মধ্যে তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য ০.১ থেকে ০.৪ হওয়ায় অণুটির দুই প্রান্তে দুটি বিপরীতধর্মী মেরু সৃষ্টি হয় না তাদের অপোলার সমযোজী যৌগ বলে।</p> <p>৩০। ভ্যান্ডারওয়ালস বল কী?</p> <p>     উত্তর : কোনো অপোলার সমযোজী যৌগের অণুগুলো যে দুর্বল আকর্ষণ বলের প্রভাবে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাকে ভ্যান্ডারওয়ালস বল বলে।</p>