<p><strong>এয়োদশ অধ্যায়</strong></p> <p><span style="font-size:22px"><strong>খাদ্য ও পুষ্টি</strong></span></p> <p><strong>[পূর্ব প্রকাশের পর]</strong></p> <p>৮।   খাদ্যের উপাদান কয়টি?</p> <p>     উত্তর : খাদ্যের উপাদান ছয়টি।</p> <p>৯।   খাদ্যোপাদান কী?</p> <p>     উত্তর : খাদ্য যেসব রাসায়নিক উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত তাকে খাদ্যোপাদান বলে।</p> <p>১০। অস্টিওম্যালেসিয়া কী?</p> <p>     উত্তর : ভিটামিন ‘ডি’র অভাবজনিত কারণে বয়স্কদের অস্থির গঠন দুর্বল হয়ে যাওয়াকে</p> <p>     অস্টিওম্যালেসিয়া বলে।</p> <p>১১। দ্রবণীয়তার গুণ অনুসারে ভিটামিন কত প্রকার?</p> <p>     উত্তর : দ্রবণীয়তার গুণ অনুসারে ভিটামিন দুই প্রকার।</p> <p>১২। যকৃৎ থেকে কী নিঃসৃত হয়?</p> <p>     উত্তর : যকৃৎ থেকে নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থ নিঃসৃত হয়।</p> <p>১৩। কোন ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ হয়?</p> <p>     উত্তর : ভিটামিন ‘এ’র অভাবে রাতকানা রোগ হয়।</p> <p>১৪। গ্লুকোজ কী?</p> <p>     উত্তর : গ্লুকোজ এক ধরনের শর্করা।</p> <p>১৫। মায়ের দুধ ও ডিমের আমিষের সহজ পাচ্যতার গুণক কত?</p> <p>     উত্তর : মায়ের দুধ ও ডিমের আমিষের সহজ পাচ্যতার গুণক হলো ১।</p> <p>১৬।  স্নেহ পদার্থ কিসের সমন্বয়ে গঠিত?</p> <p>     উত্তর : ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলের সমন্বয়ে স্নেহ পদার্থ গঠিত।</p> <p>১৭। মনোস্যাকারাইড কী?</p> <p>     উত্তর : মনোস্যাকারাইড হলো এক অণুবিশিষ্ট শর্করা। যেমন—গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ইত্যাদি।</p> <p>১৮।  স্নেহ পদার্থকে কী বলা হয়?</p> <p>     উত্তর : স্নেহ পদার্থকে শক্তি উত্পাদনকারী উপাদান বলা হয়।</p> <p>১৯। খাদ্য থেকে দেহের ভেতর যে তাপ উত্পন্ন হয় তা আমরা কিসে প্রকাশ করি?</p> <p>     উত্তর : খাদ্য থেকে দেহের ভেতর যে তাপ উত্পন্ন হয় তা আমরা কিলোক্যালরিতে প্রকাশ করি।</p> <p>২০। স্নেহজাতীয় পদার্থে কোন কোন ভিটামিন দ্রবণীয়?</p> <p>     উত্তর : ‘এ’, ‘ডি’, ‘ই’ এবং ‘কে’ ভিটামিন দ্রবণীয়।</p> <p>২১। স্কার্ভি রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয়?</p> <p>     উত্তর : ভিটামিন ‘সি’র অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়ে থাকে।</p> <p>২২। এক কিলোক্যালরি সমান কত ক্যালরি?</p> <p>     উত্তর : এক কিলোক্যালরি সমান ১০০০ ক্যালরি।</p> <p>২৩। আমিষে শতকরা কতভাগ নাইট্রোজেন থাকে?</p> <p>     উত্তর : আমিষে শতকরা ১৬ ভাগ নাইট্রোজেন থাকে।</p> <p>২৪। কোয়াশিয়রকর রোগ কী?</p> <p>     উত্তর : কোয়াশিয়রকর হলো আমিষের অভাবজনিত একটি রোগ।</p> <p>২৫। কোন ভিটামিনের অভাবে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে বিঘ্ন ঘটে?</p> <p>     উত্তর : ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে বিঘ্ন ঘটে।</p> <p>২৬।  প্রকৃতিজাত দ্রব্যে কত প্রকার অ্যামাইনো এসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে?</p> <p>     উত্তর : এ পর্যন্ত প্রকৃতিজাত দ্রব্যে ২২ প্রকার অ্যামাইনো এসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে।</p> <p>২৭। কিলোক্যালরি কী?</p> <p>     উত্তর : খাদ্যে তাপশক্তি মাপার একক হলো কিলোক্যালরি।</p> <p> </p> <p><strong>চর্তুদশ অধ্যায়</strong></p> <p><strong><span style="font-size:22px">পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্র</span></strong></p> <p>১।   বাস্তুতন্ত্র কী?</p> <p>     উত্তর : যেকোনো একটি পরিবেশের অজীব ও জীব উপাদানসমূহের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া, আদান-প্রদান ইত্যাদির মাধ্যমে পরিবেশে যে তন্ত্র গড়ে ওঠে তাই বাস্তুতন্ত্র।</p> <p>২।   জৈব উপাদান কী?</p> <p>     উত্তর : উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃতদেহের পচা অংশই হলো জৈব উপাদান।</p> <p>৩।   খাদ্যশৃঙ্খল কাকে বলে?</p> <p>     উত্তর : উদ্ভিদ উত্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে একে অন্যকে খাওয়ার মাধ্যমে শক্তির যে স্থানান্তর ঘটে তাকে খাদ্যশৃঙ্খল বলে।</p> <p>৪।   জু-প্লাংকটন কাকে বলে?</p> <p>     উত্তর : পুকুরের পানিতে ভাসমান ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক প্রাণীকে জু-প্লাংকটন বলে।</p> <p>৫।   উত্পাদক কাকে বলে?</p> <p>     উত্তর : সূর্যের আলোর সাহায্যে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যারা নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে, তাদের উত্পাদক বলে।</p> <p>৬।   খাদক বা ভক্ষক কাকে বলে?</p> <p>     উত্তর : যেসব প্রাণী উদ্ভিদ থেকে পাওয়া জৈব পদার্থ খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে বা অন্য কোনো প্রাণী খেয়ে জীবনধারণ করে, তাকে খাদক বা ভক্ষক বলে।</p> <p>৭।   জীব উপাদান কাকে বলে?</p> <p>     উত্তর : পরিবেশের সব জীবন্ত অংশকে বাস্তুতন্ত্রের জীব উপাদান বলে।</p> <p>৮।   খাদ্যজাল কাকে বলে?</p> <p>     উত্তর : বাস্তুতন্ত্রের বিভিন্ন খাদ্যশৃঙ্খলের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ককে খাদ্যজাল বলে।</p> <p>৯।   বক কোন স্তরের খাদক?</p> <p>     উত্তর : বক তৃতীয় স্তরের খাদক।</p> <p>১০। অজীব উপাদান কী?</p> <p>     উত্তর : বাস্তুতন্ত্রের প্রাণহীন সব উপাদানই অজীব উপাদান।</p> <p>১১। বিয়োজক কাকে বলে?</p> <p>     উত্তর : যেসব অণুজীব উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃতদেহ বিয়োজিত করে সরল জৈব ও অজৈব দ্রব্যাদিতে রূপান্তরিত করে তাদের বিয়োজক বলে।</p> <p>১২। প্রাকৃতিক পরিবেশে কত ধরনের বাস্তুতন্ত্র আছে?</p> <p>     উত্তর : প্রাকৃতিক পরিবেশে দুই ধরনের বাস্তুতন্ত্র আছে।</p> <p>১৩। সূর্যশক্তির শতকরা কতভাগ সবুজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণে কাজে লাগে?</p> <p>     উত্তর : সূর্যের যত আলো পৃথিবীতে আসে তার মাত্র শতকরা ২ ভাগ সবুজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণে কাজে লাগে।</p> <p>১৪। সুন্দরবনের মাটির লবণাক্ততার কারণ কী?</p> <p>     উত্তর : সুন্দরবনের মাটির লবণাক্ততার কারণ সামুদ্রিক জোয়ার-ভাটা।</p> <p>১৫। পরিবেশ কাকে বলে?</p> <p>     উত্তর : একটি স্থানের সব জড়বস্তু ও জীব নিয়েই সেখানকার পরিবেশ গড়ে ওঠে। আমাদের চারপাশের সব কিছু নিয়েই গড়ে উঠেছে আমাদের পরিবেশ।</p> <p>১৬। প্লাংকটন কাকে বলে?</p> <p>     উত্তর : পানিতে ভাসমান ক্ষুদ্র জীবদের প্লাংকটন বলে।</p> <p>১৭। সর্বভুক কী?</p> <p>     উত্তর : বাস্তুতন্ত্রের যেসব প্রাণী একাধিক স্তরের খাদকদের খায় তাদের সর্বভুক বলা হয়।</p> <p>১৮। সুন্দরবনের বনাঞ্চল কোন ধরনের?</p> <p>     উত্তর : সুন্দরবনের বনাঞ্চল ম্যানগ্রোভ বন নামে পরিচিত।</p> <p>১৯। বাস্তুসংস্থানের শক্তি প্রবাহ কিরূপ?</p> <p>     উত্তর : বাস্তুসংস্থানের শক্তি প্রবাহ একমুখী।</p> <p>২০। প্রথম স্তরের খাদক কী?</p> <p>     উত্তর : যেসব প্রাণী উদ্ভিদভোজী তারা প্রথম স্তরের খাদক।</p> <p>২১। জলজ বাস্তুসংস্থানের স্বয়ংসম্পূর্ণ উদাহরণ কী?</p> <p>     উত্তর : স্বাদু পানির পুকুর জলজ বাস্তুসংস্থানের স্বয়ংসম্পূর্ণ উদাহরণ।</p> <p>২২। দ্বিতীয় স্তরের খাদক কী?</p> <p>     উত্তর : যারা প্রথম স্তরের খাদকদের খেয়ে বেঁচে থাকে, তাদের দ্বিতীয় স্তরের খাদক বলে।</p> <p>২৩। বাস্তুতন্ত্রের উত্পাদক কারা?</p> <p>     উত্তর : সবুজ উদ্ভিদ হচ্ছে বাস্তুতন্ত্রের উত্পাদক।</p> <p>২৪। শ্বাসমূলের কাজ কী?</p> <p>     উত্তর : শ্বাসমূল মূলের অগ্রভাগের ছিদ্র দিয়ে অক্সিজেন গ্রহণ করে।</p>