<p>ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসকে সংক্ষেপে ইপিআর বলা হয়। এই বাহিনীর বর্তমান নাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ অর্থাৎ বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষক। এটি একটি আধা সামরিক বাহিনী। ১৭৯৫ সালের ২৯ জুন এই বাহিনী ‘রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন’ নামে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠাকালে ৪৪৮ জন সদস্যের এই বাহিনীর দুটি অনিয়মিত অশ্বারোহী দল ও চারটি কামান ছিল। ১৮৭৯ সালে ‘স্পেশাল কম্পানি’ ও ১৮৯১ সালে ‘বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ’ নামে পরিচিতি লাভ করে এই বাহিনী। ১৯২০ সালে এর জনবল ও শক্তি বৃদ্ধি করে ১৬টি প্লাটুন সমন্বয়ে ‘ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার্স রাইফেলস’ নাম দেওয়া হয়।</p> <p><img alt="" src="http://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/ckfinder/innerfiles/images/Print Version Online/print /2021/July/09-07-2021/Kk-21'07'09-3.jpg" style="float:left; height:55px; margin:10px; width:150px" />১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর পুনর্গঠিত এই বাহিনীর নাম দেওয়া হয় ইপিআর (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস)। কলকাতা মেট্রোপলিটন আর্মড পুলিশের একটি দল, কিছুসংখ্যক বাঙালি এবং সে সময়ের পশ্চিম পাকিস্তানের এক হাজার সাবেক সেনা এই বাহিনীতে যোগ দেন। পরে আরো তিন হাজার বাঙালি নিয়োগ করে এই বাহিনীকে সুসংগঠিত করা হয়। দক্ষ নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনার প্রয়োজনে সামরিক বাহিনী থেকে অফিসার নিয়োগ করা হয়। ১৯৫৮ সালে এই বাহিনীকে চোরাচালান দমনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত এই বাহিনীর জনবল ১৩ হাজারের বেশি উন্নীত হয়।</p> <p>বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের (ইপিআর) সদস্যরা। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই বাহিনীর রয়েছে গৌরবময় অবদান। স্বাধীনতাযুদ্ধে ইপিআরের আট শতাধিক সদস্য শাহাদত বরণ করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্সনায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্সনায়েক মুন্সী আবদুর রউফ।</p> <p>দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৩ মার্চ ইপিআর বাহিনীকে পুনর্গঠন করে এর নাম রাখা হয় বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)। ২০১৬ সালে এই বাহিনীতে সর্বপ্রথম নারী সৈনিক যোগ দেন। ২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক এর বর্তমান নাম ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ (বিজিবি)-এর নতুন পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন ও মনোগ্রাম উন্মোচনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই বাহিনীর নতুন পথচলা।</p> <p>  ►  ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল</p>