<p>[নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের অষ্টম অধ্যায়ে আব্রাহাম লিংকনের উল্লেখ আছে]</p> <p>আব্রাহাম লিংকন ছিলেন একজন মার্কিন রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। ১৮৬১ সালে আমেরিকার ১৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি দায়িত্ব নেন। তিনি আমেরিকার অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট।</p> <p>১৮০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের হার্ডিন কাউন্টিতে আব্রাহাম লিংকনের জন্ম। রাজনৈতিকভাবে সফল এ নেতাকে ব্যক্তিজীবনে বহু চড়াই-উতরাই পার করতে হয়েছে। শিশুকালেই লিংকন তাঁর মা ন্যান্সি হ্যাংকসকে হারান। পরের বছরই তাঁর বাবা সারাহ বুশ জনস্টন নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। তিনি ছোট থেকেই বই পড়তে খুব ভালোবাসতেন। ১৮৪২ সালে আব্রাহাম লিংকন মেরি টডকে বিয়ে করেন। তাঁদের ঘরে চার সন্তানের জন্ম হলেও মাত্র একজনই ১৮ বছরের বেশি বেঁচেছিলেন।</p> <p>আব্রাহাম লিংকন ছিলেন রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট। তিনি স্টিফেন ডগলাসকে পরাজিত করে প্রথমবারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সে সময় দাসপ্রথাকে কেন্দ্র করে খুব কঠিন সময় পার করছিল দেশটি।</p> <p>শুধু নেতা নন, ভালো বক্তা হিসেবেও আব্রাহাম লিংকনের খ্যাতি রয়েছে। ১৯ নভেম্বর ১৮৬৩ সালে গেটিসবার্গে আব্রাহাম লিংকন একটি সংক্ষিপ্ত ও দুনিয়া কাঁপানো ভাষণ দেন। মাত্র দুই মিনিটে ২৭২ শব্দের এই বিখ্যাত ভাষণটি ‘গেটিসবার্গ স্পিচ’। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ।</p> <p>এই ভাষণের সবচেয়ে লক্ষণীয় দিক হলো মাত্র একটি বাক্যে গণতন্ত্রের নিখুঁত সংজ্ঞা দিয়েছেন লিংকন। তাঁর ভাষ্য মতে, ‘Government of the people, by the people, for the people’ অর্থাৎ ‘গণতন্ত্র হলো জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা সরকার, জনগণের জন্য সরকার।’</p> <p>তাঁর আরো কিছু বিখ্যাত উক্তি হচ্ছে—</p> <p>>    কাউকে যদি পরীক্ষা (ভালো-মন্দের ব্যাপারে) করতে চাও, তাহলে তাকে ক্ষমতা দিয়ে দেখ।</p> <p>>    আমি ধীর গতির পথিক, তবে পিছু হটি না।</p> <p>>    আজকের কাজে ফাঁকি দিয়ে আগামীকালের দায়িত্ব থেকে রেহাই পাবে না।</p> <p>আব্রাহাম লিংকন ১৮৬৫ সালে দাসপ্রথার বিলুপ্তি ঘোষণা করেন এবং একই বছর এক আততায়ীর গুলিতে এই মহান নেতা মারা যান। </p> <p> </p>