প্রথম অধ্যায়
ভৌত রাশি ও পরিমাপ
১। পদার্থবিজ্ঞান কী?
উত্তর : বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থ ও শক্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়, সেই শাখাকে পদার্থবিজ্ঞান বলা হয়।
২। ব্যক্তিগত ত্রুটি কী?
উত্তর : পরীক্ষণের সময় পর্যবেক্ষকের নিজের কারণে যে ত্রুটি আসে তাকে ব্যক্তিগত ত্রুটি বলে।
৩। ‘বোসন’ কী?
উত্তর : পদার্থবিজ্ঞানে প্রফেসর সত্যেন্দ্রনাথ বসুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একশ্রেণির মৌলিক কণাকে তার নামানুসারে ‘বোসন’ বলে।
৪। ক্যালকুলাস নামক গণিত ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন কে?
উত্তর : ক্যালকুলাস নামক গণিত ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন স্যার আইজ্যাক নিউটন।
৫। পরমাণু যে ফিশনযোগ্য এ কথা প্রথম আবিষ্কার করেন কে বা কারা?
উত্তর : ১৯৩৮ সালে পরমাণু ফিশনযোগ্য এ কথা প্রথম আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী ওটোহান ও স্ট্রেসম্যান।
৬। মাইক্রোমিটার কী?
উত্তর : মাইক্রোমিটার হলো দৈর্ঘ্য পরিমাপের ক্ষুদ্রতম একক। এক মিটার দৈর্ঘ্যকে দশ লক্ষ ভাগে ভাগ করলে প্রত্যেক ভাগকে এক মাইক্রোমিটার বলে।
৭। মিটার স্কেল কী?
উত্তর : মিটার স্কেল হচ্ছে পরিমাপের সবচেয়ে সরল যন্ত্র, যার দৈর্ঘ্য ১ মিটার বা ১০০ সেন্টিমিটার।
৮। kg কিসের একক?
উত্তর : kg বা কেজি ভরের একক।
৯। পদার্থবিজ্ঞানের বিস্ময়কর অগ্রগতি কখন ঘটে?
উত্তর : বিংশ শতাব্দীতে পদার্থবিজ্ঞানের বিস্ময়কর অগ্রগতি ঘটে।
১০। বল লব্ধ রাশি কেন?
উত্তর : বল রাশিটি নিজে স্বাধীন বা নিরপেক্ষ নয়। এ রাশিটি মৌলিক রাশি থেকে উৎপন্ন হয়। তাই বলকে লব্ধ রাশি বলা হয়।
১১। রাশি কাকে বলে?
উত্তর : এ ভৌতজগতে যা কিছু পরিমাপ করা যায় তাকে বলা হয় রাশি।
১২। রাশি কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : রাশি ২ প্রকার। যথা—(১) মৌলিক রাশি
(২) লব্ধ বা যৌগিক রাশি।
১৩। মৌলিক রাশি কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল রাশি স্বাধীন বা নিরপেক্ষ, যেগুলো অন্য রাশির ওপর নির্ভর করে না বরং অন্যান্য রাশি এদের ওপর নির্ভর করে তাদেরকে মৌলিক রাশি বলে।
১৪। মৌলিক রাশি কয়টি ও কী কী?
উত্তর : মৌলিক রাশি ৭টি। যথা—(১) দৈর্ঘ্য (২) ভর (৩) সময় (৪) তাপমাত্রা
(৫) বৈদ্যুতিক প্রবাহ
(৬) দীপন তীব্রতা
(৭) পদার্থের পরিমাণ
১৫। লব্ধ রাশি কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল রাশি মৌলিক রাশির ওপর নির্ভর করে বা মৌলিক রাশি থেকে লাভ করা যায় তাদেরকে লব্ধ রাশি বলে। উদাহরণ— বেগ, ত্বরণ, বল, কাজ, ক্ষমতা, ঘনত্ব ইত্যাদি।
১৬। পরিমাপ কী?
উত্তর : কোনো কিছুর পরিমাণ নির্ণয় করাকে পরিমাপ বলে।
১৭। পরিমাপের একক কী?
উত্তর : যে আদর্শ পরিমাপের সাথে তুলনা করে ভৌত রাশিকে পরিমাপ করা হয় তাকে বলা হয় পরিমাপের একক।
১৮। পরিমাপের একক কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : পরিমাপের একক ২ প্রকার।
যথা—(১) মৌলিক একক (২) লব্ধ একক
১৯। মৌলিক একক কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল একক অন্য কোনো এককের ওপর নির্ভর করে না তাকে মৌলিক একক বলে।
২০। সৌরকেন্দ্রিক তত্ত্বের ধারণা দেন কে?
উত্তর : কোপার্নিকাস সৌরকেন্দ্রিক তত্ত্বের ধারণা দেন।
২১। লব্ধ একক বা যৌগিক একক কী?
উত্তর : যেসব একক মৌলিক একক থেকে লাভ করা যায় বা মৌলিক এককের ওপর নির্ভর করে তাকে লব্ধ একক বলে। যেমন—বলের একক নিউটন (N), কাজের একক জুল (J)।
২২। S.I. একক কী?
উত্তর : S.I.-এর পূর্ণরূপ হলো : International System of Unit. সুতরাং এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতিকে সংক্ষেপে S.I. একক বলা হয়।
২৩। মাত্রা কাকে বলে?
উত্তর : কোনো ভৌত রাশিতে উপস্থিত মৌলিক রাশিগুলোর সূচককে রাশিটির মাত্রা বলে। যেমন—দৈর্ঘ্যের মাত্রা : L, সময়ের মাত্রা : T, ভরের মাত্রা : M
২৪। মাত্রা সমীকরণ কাকে বলে?
উত্তর : যে সমীকরণের সাহায্যে কোনো রাশির মাত্রা প্রকাশ করা হয় তাকে মাত্রা সমীকরণ বলে। যেমন— বলের মাত্রা সমীকরণ [F] = [ML-2]
২৫। বৈজ্ঞানিক প্রতীক কাকে বলে?
উত্তর : কোনো সংখ্যাকে ১০-এর যেকোনো ঘাত এবং ১ থেকে ১০-এর মধ্যে অপর সংখ্যার গুণফল হিসেবে প্রকাশ করা হয় তাকে বৈজ্ঞানিক প্রতীক বলে।
২৬। পদার্থের পরিমাণের একক কী?
উত্তর : পদার্থের পরিমাণের একক মোল (সড়ষ)।
২৭। কেলভিন (1K) কী?
উত্তর : পানির ত্রৈধবিন্দুর তাপমাত্রার ১/২৭৩.১৬ ভাগকে ১ কেলভিন বলে।
২৮। মিটার স্কেল কী?
উত্তর : পরীক্ষাগারে দৈর্ঘ্য পরিমাপের সবচেয়ে সরল যন্ত্র হলো মিটার স্কেল। এর দৈর্ঘ্য ১ মিটার বা ১০০ সে.মি.। এ জন্য একে মিটার স্কেল বলে।
২৯। ভার্নিয়ার স্কেল কী?
উত্তর : মূল স্কেলের ক্ষুদ্রতম ভাগের ভগ্নাংশের নির্ভুল পরিমাপের জন্য মূল স্কেলের পাশে যে ছোট আর একটি স্কেল ব্যবহার করা হয় তার নাম ভার্নিয়ার স্কেল। গণিত শাস্ত্রবিদ পিয়েরে ভার্নিয়ার এই স্কেল আবিষ্কার করেন। তাঁর নামানুসারে এই স্কেলের নাম ভার্নিয়ার স্কেল।
৩০। ভার্নিয়ার ধ্রুবক কাকে বলে?
উত্তর : প্রধান স্কেলের ক্ষুদ্রতম এক ভাগের চেয়ে ভার্নিয়ার স্কেলের এক ভাগ কতটুকু ছোট তার পরিমাণকে বলা হয় ভার্নিয়ার ধ্রুবক।
৩১। আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সূচনা ঘটান কে?
উত্তর : আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সূচনা ঘটে ইতালির বিখ্যাত বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর হাতে।
৩২। ভার্নিয়ার সমপাতন কী?
উত্তর : বস্তুর দৈর্ঘ্য পরিমাপের সময় ভার্নিয়ার স্কেলের যে দাগটি প্রধান স্কেলের কোনো একটি দাগের সাথে মিলে যায় বা কাছাকাছি থাকে ভার্নিয়ার স্কেলের ওই দাগের মানই হলো ভার্নিয়ার সমপাতন।
৩৩। পিচ (Pitch) কাকে বলে?
উত্তর : স্ক্রুগজের টুপির সাহায্যে বৃত্তাকার স্কেলকে একবার ঘোরালে এটি রৈখিক স্কেল বরাবর যে দৈর্ঘ্য অতিক্রম করে তাকে যন্ত্রের পিচ বলে।
৩৪। লঘিষ্ঠ গণন (Least Count) কাকে বলে?
উত্তর : স্ক্রুগজের টুপির সাহায্যে বৃত্তাকার স্কেলটি মাত্র এক ভাগ ঘোরালে এর প্রান্ত বা স্ক্রুটি রৈখিক স্কেল বরাবর যতটুকু সরে আসে তাকে যন্ত্রের লঘিষ্ঠ গণন বলে।
মন্তব্য